পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নোয়াখালীর ভাসানচরে বসবাসকারী বলপূর্বক বাস্তচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। ত্রাণ সমাগ্রী বিতরণ কার্যক্রম ছাড়াও ভাসানচর আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসরত মায়ানমারের নাগরিকদের মৃত্যুর পর দাফন কার্যাদি সম্প্রদানের সকল দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, বর্তমান চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩ মাসের জন্য ভাসানচরে বসবাসরত প্রায় ১২০০ পরিবারের মাঝে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। প্রথম পর্যায়ে ৩ মাসের জন্য প্রায় ১২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী হিসাবে ১,৬৬,৫০০ কেজি চাল, ১৬,৬৫০ কেজি ডাল, ১৬,৫০০ লিটার সয়াবিন তেল, ১০,৩৫০ কেজি চিনি, ৬,৩০০ কেজি লবণ, ৭,০০০ কেজি পেঁয়াজ, ১,৪০০ কেজি রসুন, ৬০০ কেজি আদাসহ অন্যান্য গুড়া মসলা বিতরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগ জানিয়েছে।
আজ ১৫ মার্চ সোমবার সকাল ১০ টায় ভাসানচরে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে প্রথম ধাপের মানবিক সহায়তা হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক ও হেড অফ অপারেশন, পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন (পিএমও) কক্সবাজার এম এ হালিম, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো: সেলিম আহমেদসহ শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ । এদিন কক্সবাজার থেকে চতুর্থ ধাপে আসা ৭৭৬ পরিবারের মাঝে ও পরবর্তীতে প্রথম ধাপে ভাসানচরে আসা আরোও ৩৮৪ জনের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট যে কোন দুর্যোগে সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে দাঁড়ায়। তিনি বলেন, কক্সবাজার অবস্থানরত বলপূর্বক বাস্তচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের জন্য সোসাইটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকার মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ভাসানচরে অবস্থানরতদের জন্যও একই ধরণের মানবিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো: মিজানুর রহমান বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের জনগণের সেবায় সরকারের সাথে প্রথম থেকেই একযোগে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, যা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। ভাসানচরে বসবাসকারী মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত নাগরিকদের মাঝে এই মানবিক সহয়তা কার্যক্রম তারই ধারাবাহিকতা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সরকারের সাথে সম্মিলিতভাবে ভাসানচরে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ভাসনচরে দায়িত্বরত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো: সেলিম আহমেদ জানান, ভাসনচরে মারা যাওয়া সকল ব্যক্তির দাফন কাজটি সম্পাদনের দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নিজ খরচে এই কাজটি সম্পন্ন করছে । তিনি বলেন, গত ১২ মার্চ শুক্রবার থেকে মৃতদেহ দাফন কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক এম এ হালিম এর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ভাসানচর সরেজমিন পরিদর্শন, সহায়তা সম্ভাব্যতা যাচাই ও অবস্থানরত বলপূর্বক বাস্তচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৩ দিনের সফরে গত ১৩ মার্চ ভাসানচর পৌছিয়েছেন। এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার, এমপি এর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলও ভাসানচর সরেজমিন পরিদর্শন করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।