পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা দরবারের পীর আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। যারা ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তারা মূলতঃ ইসলামের কেউ নয়। হয় তারা কারো অর্থে ও স্বার্থে বিপথগামী হয় অথবা প্রকৃত অর্থ না বুঝে ভুল পথে ধাবিত হচ্ছে। সরকার সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সক্ষম হয়েছে। তবে ইসলামের সঠিক মর্মবাণী প্রচার করা হলে কোন অপব্যাখ্যা করার সুযোগ থাকবে না।
গতকাল ছারছীনা দরবারের ১৩১তম বার্ষিক মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বাদ জোহর হযরত পীর ছাহেব এ কথা বলেন। এদিন মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশে ইসলামের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন। তিনি তার সময়কালে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করাসহ ইসলামের খেদমতে অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থে একের পর এক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছেন। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন, কওমী সনদের স্বীকৃতি, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন অন্যতম। তাই কোন গুজব ও ষড়যন্ত্রের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। বাংলাদেশে ইসলাম পূর্বে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।
হযরত পীর ছাহেবের বড় ছাহেবজাদা আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন ছারছীনা দরবারের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং ইলম ও আমলের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, কবরে শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি পেতে হলে নিয়মিতভাবে তরীকা মশক করতে হবে এবং সুন্নাত তরীকা মোতাবেক জীবন গঠন করতে হবে। তিনি পবিত্র কুরআন ও হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে আমলের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন এবং সত্যিকারের মুত্তাকী মুসলমান হবার আহ্বান জানান।
দ্বিতীয় দিন বিশেষ মেহমান ছিলেন- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস এর গভর্নর ড. মুফতী আল্লামা কাফিল উদ্দিন সরকার ছালেহী, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারেফ হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোহাম্মাদ হোসেন প্রমূখ।
মাহফিলের দ্বিতীয় দিন ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না। আজ বাদ জোহর তিন দিনব্যাপী মাহফিলের আখেরী মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। হযরত পীর ছাহেব দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ কামনা করে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।