পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মনোনয়ন জমা দিয়ে গতকাল নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিচ্ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁকে ঘিরে এদিন মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের ভাড়া বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। সে সময় আহত হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন তিনি।
জানা গেছে, ভিড়ের মধ্যে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় ধাক্কা-ধাক্কিতে মুখ থুবড়ে পড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তার পায়ে প্রচন্ড চোট লেগেছে। গাড়িতে বসে কথা বলতে বলতেই তার চোখে মুখে যন্ত্রণার ছাপ ধরা পড়েছে। চোট এতটাই গুরুতর যে, মুখ্যমন্ত্রীকে তড়িঘড়ি কলকাতায় আনা হচ্ছে। জানা গেছে, কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে তার চিকিৎসা হবে।
আহত অবস্থাতেই গাড়িতে বসে চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘চক্রান্ত করে চার-পাঁচ জন ধাক্কা মেরেছে। আমি তাতেই পড়ে গেছি। আমার পা ফুলে গেছে। জেনেশুনে হামলা হয়েছে আমার ওপর। গাড়ির দরজা জোর করে বন্ধ করে দেয়া হল। ঘটনার সময় পুলিশ সুপার বা কোনও রাজ্য পুলিশ ছিল না।’
গোটা ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ আকারে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, খবর জানাজানি হতেই পদক্ষেপ করেছে কমিশন। জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।
ভোটের বাংলায় এ ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। জেড প্লাস নিরাপত্তা পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে কীভাবে এত মানুষ এলেন ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিলেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের দাবিকে ‘নাটক’ বলে দাবি করেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘মমতা তো নিজেই পুলিশমন্ত্রী। তাঁকে চারশো নিরাপত্তা কর্মী ঘিরে থাকেন। সবাইকে টপকে কীভাবে এ ধাক্কাধাক্কি হতে পারে? অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইপিএসদের বরখাস্ত করা উচিত।’
‘চোট পাওযার কথা বলে ভোটের আগে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ দাবি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।