Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারতকে কানেকটিভিটি দিয়ে নতুন যুগের সৃষ্টি করছি

ফেনী নদীর ওপর মৈত্রী সেতু উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এপ্রিল-মে-জুনে করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ভারতকে কানেকটিভিটি দেয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন যুগের সৃষ্টি করছি। আমরা এমন একটি অঞ্চলে আছি যেখানে কানেকটিভিটি চালুর বিষয়ে রক্ষণশীলতা ছিল এবং যেখানে সম্ভাবনার চেয়ে আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য অনেক কম। শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক সীমানা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। মৈত্রী সেতু শুধু ভারত নয়, নেপাল এবং ভুটানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সহজ করতে সহায়তা করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যৌথভাবে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতুর ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে দেয়া ভিডিও বার্তায় একথা বলেন।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং নরেন্দ্র মোদী দিল্লী থেকে ভার্চুয়ালি ত্রিপুরার আগরতলাতে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই মুহূর্তটিকে ঐতিহাসিক হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, মৈত্রী সেতু শুধু দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগই স্থাপন করবে না এটি এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ফেনী নদীর ওপর ভারতীয় মুদ্রায় ১৩৩ কোটি রুপি, টাকার অংকে প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১ দশমিক ৯ কি.মি. দীর্ঘ সেতুটি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার হয়ে উঠতে যাচ্ছে।

দুই দেশের সীমান্তের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ফেনী নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির রামগড়কে সংযুক্ত করেছে।
দিল্লী থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ত্রিপুরার মূখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি এই সেতু আমাদের দুই দেশের মাঝে শুধু সেতুবন্ধই রচনা করবে না, বরং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে। শুধু চট্টগ্রাম পোর্ট নয়, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ত্রিপুরাবাসী ব্যবহার করতে পারবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১০ সালে ত্রিপুরার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ফেনী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করার প্রস্তাব রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন- চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের জন্য এই ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনুরোধটি ইতিবাচক ভাবে বিবেচনা করি। তারপর থেকে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় পক্ষকে সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করে আসছে।

তিনি বলেন, এই সেতুটি উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য একটি বাণিজ্য লাইফলাইন হবে। আপনারা সবাই জানেন পণ্য পরিবহনের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফেনী সেতু চালুর মধ্যে দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বের ল্যান্ডলকড রাজ্যগুলো বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারে। আগে ১৬০০ কিলোমিটার দূরে আগরতলার নিকটতম সমুদ্র বন্দর ছিল কলকাতা। বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে আগরতলার নিকটতম সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারেরও কম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির গতিপথ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্রতিবেশী করে তুলেছে। বৈশ্বিক টেক্সটাইল শিল্পের অন্যতম নেতা হিসেবে আমরা আমাদের জন্য একটি স্বতন্ত্র পথ তৈরি করেছি এবং দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে কানেকটিভির কেন্দ্র হিসেবে এর অবস্থানগত সুবিধা সর্বাধিক করতে প্রস্তুত।

মৈত্রী সেতুর সফল পরিচালনা এবং ব্যবহার প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মৈত্রী সেতু এমন এক সময় উদ্বোধন করছি যখন আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত-বার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত ক‚টনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশতম-বর্ষ উদযাপন করছি।

তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সংগ্রামকে সমর্থন জানিয়ে ভারত বাংলাদেশের জন্য তাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। ত্রিপুরাবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভুলি নাই- ১৯৭১ সালে কীভাবে আমার জনগণকে আপনারা আশ্রয় দিয়েছিলেন, সমর্থন দিয়েছিলেন, সহযোগিতা করেছিলেন এবং আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিলাম। কাজেই আজকের দিনে আমি সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

এপ্রিল-মে-জুন নিয়ে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী
এপ্রিল, মে ও জুন মাস ঘিরে ফের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতবছরের গ্রীষ্মকালের অভিজ্ঞতায় তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গতকাল ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে করোনা সংক্রান্ত আলোচনায় এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমি সব জায়গায় বলছি যে আমরা একেবারে কমফোর্ট জোনে আছি, এটা যেন চিন্তা না করি। আমরা অন্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে আছি। কিন্তু একেবারে কমফোর্ট জোনে না। যে যেখানে থাকি ভ্যাকসিন নেই বা না নেই। তিনটি বিষয় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, অবশ্যই যেন মাস্ক ব্যবহার করি, যথাসম্ভব যেন সতর্কতা অবলম্বন করি আর তৃতীয়টি হচ্ছে পাবলিক গ্যাদারিং যেখানে হচ্ছে সেখানে যেন লিমিটেড সংখ্যায় থাকি।

তিনি বলেন, দেশে কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বাড়ার ধারাবাহিকতায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর হারও আবার পাঁচ শতাংশের উপরে উঠে এসেছে। মাস্ক বাধ্যতামূলক করার জন্য প্রশাসন মাঠে নামবে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেখি আমরা বিষয়টা। আমরা প্রচার করছি যে, একটা ভ্যাকসিন নিলে বিজ্ঞানীরা বলছে না যে আপনি পুরোপুরি নিরাপদ, ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে কোনো বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, আগামীতে অবস্থা কেমন হয় মে মাসে গিয়ে দেখা যাবে। গ্রামেগঞ্জে এ বিষয়ে মোটিভেশনাল কাজ করা হচ্ছে।

লকডাউন বিষয়ে তিনি বলেন, লকডাউনের বিষয়ে ওইভাবে চিন্তা করিনি। যদি (সংক্রমণ) বাড়ে তাহলে আবারও বসবে। মানুষের জীবন ও জীবিকা এ দুটো ব্যালেন্স করেই তো আমরা কাজ করে আসছি। রোজার মাসে পণ্য সরবরাহ নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, রমজানে কতগুলো পণ্য বিশেষভাবে জরুরি প্রয়োজন হয়ে যায়, যেমন ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুর ও পেঁয়াজ। এসব নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ সভায় আশ্বস্ত করেছে, আমাদের যে পরিমাণ চাহিদা সে তুলনায় আমাদের মজুদ সন্তোষজনক রয়েছে। টিসিবি যে আমদানি করছে তা রোজার আগেই চলে আসবে অন্তত ছয়টি যে পণ্য রোজার সময় বিশেষ প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে অসুবিধা হবে না। আশা করা যায়, সাপ্লাইয়ের কোনো ঘাটতি হবে না। দাম বাড়ার বিষয়টি অনেকটা মার্কেটের উপর নির্ভর করে। সাপ্লাই বেশি থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাবে।



 

Show all comments
  • Md Nurul Hoque ১০ মার্চ, ২০২১, ৪:৩৪ এএম says : 3
    অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Moniruzzaman ১০ মার্চ, ২০২১, ৪:৩৫ এএম says : 2
    মহামানব বিশ্ববন্ধু শেখ মুজিবের সুযোগ্য কন্যা মহামানবী শেখ হাসিনা অসীম স্রষ্টার কৃপায় আরও ৪০ বছর সুস্থ, সবল, কর্মক্ষম ও ক্ষমতায় থাকুক এই প্রার্থনাই করি।
    Total Reply(0) Reply
  • Asaduzaman Razon ১০ মার্চ, ২০২১, ৪:৩৫ এএম says : 2
    আমাদের নেত্রী শুধু বাংলাদেশের না গোটা বিশ্বের অহংকার জয় বাংলা জয় বঙ্গ বন্ধু
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Year Ali Shikder ১০ মার্চ, ২০২১, ৪:৩৬ এএম says : 2
    স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রতিচ্ছবি জয়তু উন্নয়নশীল বাংলাদেশের জননী করোনা যুদ্ধে বিশ্ব সেরা নারী নেতৃত্ব মাননীয় মানবিক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এগিয়ে চলছে দূর্বার সমৃদ্ধির অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল মুজিব জন্মশতবার্ষিকী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে অগ্নিঝরা মার্চে অজস্র সালাম অশেষ দোয়া ফুলেল শুভেচছা ও আন্তরিক অভিনন্দন
    Total Reply(0) Reply
  • আরমান ১০ মার্চ, ২০২১, ৪:৩৭ এএম says : 2
    নেত্রীর নিদের্শনা অনুযায়ী সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • গোলাম মোস্তফা ১০ মার্চ, ২০২১, ৪:৩৮ এএম says : 0
    তিস্তার পানির ব্যবস্থা করুন
    Total Reply(0) Reply
  • Liakat Ali Khan ১০ মার্চ, ২০২১, ৭:১৫ এএম says : 0
    ভারত আমাদের এমন বন্ধু যে কেবল নিতে জানে দিতে জানে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১০ মার্চ, ২০২১, ১:২৮ পিএম says : 0
    আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভারতকে কানেকটিভিটি দেয়ার পর ঐ সড়ক ব্যাবহার করে বানিজ্যিক সরঞ্জাম আসা যাওয়া করলে তখন এই কানেকটিভিটি দেয়ার কারনে বাংলাদেশের আয় হবার কথা। আর ভারত সরকার যদি বাংলাদেশকে সেই ন্যায্য ফিটা দেয় তাহলে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি ধনী দেশ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ভারত অদ্যাবদি এসব সুযোগ সুবিধা পাবার পর কোন রকম ফি দিচ্ছে না। শেখ হাসিনার সরকারের এটাই সবচেয়ে বড় পরাজয় যে দেশের অমূল্য সম্পদ ব্যাবহার করে ভারতেকে কোরিডোর দেয়ার পরও কোন সঠিক ভাবে ফি আদায় করতে পারছেনা। দুঃখজনক হলেও সত্য হাসিনা সরকার তারপরও একের পর এক কানেকটিভিটি দিয়ে যাচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Tareq Sabur ১৪ মার্চ, ২০২১, ১০:০৬ পিএম says : 0
    ভারতকে কানেকটিভিটি দিয়ে ভারতের লাভ করেছেন। বিনিময়ে আজিবন প্রধানমন্ত্রী থাকার আশা জাগিয়ে রেখেছেন। এতে আপনার লাভ কিন্তু বাংলাদেশের কোন লিভ নেই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ