পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ কাটা, চুরি চলছেই। বরাবরই অভিযুক্ত বিমানবন্দর অথবা এয়ারলাইনস কর্মীরা। গতকাল সকালে নিউ ইয়র্ক থেকে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে লাগেজ কাটা পান এক দম্পতি। লাগেজ থেকে তাদের মূল্যবান মালামাল খোয়া গেলেও দীর্ঘ ভ্রমনের কারণে ক্লান্ত থাকায় কোন অভিযোগ না করেই বিমানবন্দর থেকে চলে আসেন তারা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ হয়রানি চরমে পৌঁছেছে। এ থেকে বাদ যাচ্ছেন না সাধারণ যাত্রী থেকে ভিআইপিরাও। বিমানযাত্রীরা প্রতিনিয়ত এই বিমানবন্দরে লাগেজ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি বিমানযাত্রীদের লাগেজ থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান সামগ্রী। কিন্তু এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্বিকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অন্তত অর্ধশত লাগেজ পার্টি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। আর তাদের অপকর্মে সহযোগিতা করছে বিমানবন্দরেই কর্মরত দুনীতিবাজ পুলিশ, কাস্টম ও সিভিল এভিয়েশনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। দীর্ঘদিন ধরেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চলছে। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়ার পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। বিশেষ করে লাগেজ কাটা পার্টির দৌরাত্ম্য ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বিমানবন্দরে লাগেজ চুরিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সক্রিয় রয়েছে। বছরের পর বছর এ কর্মকান্ডের মাধ্যমে লাগেজ চুরির সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক বনে গেছেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদুৃল আহসান গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিদেশ ফেরত কোন যাত্রীর লাগেজ কেটে মালামাল নিয়ে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করছি। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক সময় যে বিমানবন্দর থেকে যাত্রী যাত্রা শুরু করেন সেখানেও নিরাপত্তার স্বার্থে লাগেজ কেটে তল্লাশী তরা হয়। তবে মালামাল খোয়া গেলে আমরা অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে এপিবিএন’র সিনিয়র এএসপি আলমগীর হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গত সপ্তাহে দুবাই থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। তার সাথে ৩টি লাগেজ ছিল। কিন্তু হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর একটি লাগেজ কাটা দেখতে পান তিনি। ওই লাগেজে থেকে বেশ কিছু কসমেটিক্স খোয়া যায়। আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম তাই অভিযোগ না করেই চলে আসি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা নিয়মিত দেশের বাইরে ব্যবসা বা অন্য কোন প্রয়োজনে যাতাযাত করেন তাদের কারো অভিজ্ঞতা ভাল নয়। হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ কাটা বা হারানোর ঘটনা প্রায় সময়েই ঘটে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বলেন, গত ১ জানুয়ারী তিনি নিউ ইয়ার্ক থেকে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় আসেন। হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে লাগেজ সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন যে, তার ৬টি লাগেজ কাটা। পরে বাসায় ফিরে লাগেজ তল্লাশি করে বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী পাননি। কেন অভিযোগ করেননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযোগ করে প্রতিকার পাওয়া গেলে এমন রেকর্ড খুব বেশি নেই। তাছাড়া আমি কিছু দিন পর নিউ ইয়র্ক ফিরে যাব, তাই সময় কম থাকায় অভিযোগ করা হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।