পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ার আদমদীঘিতে খাল খনন প্রকল্প কাজ নিয়ে গত ৭ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে ‘কাদা তুলেই অর্ধ কোটি টাকা লোপাট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর এনিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অবশেষে গত সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) বগুড়া জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী। গত সোমবার দুপুরে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ খাল খনন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত খনন কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শ দেন। এসময় দুর্নীতি দমন কমিশন সমম্বিত কার্যালয় বগুড়ার উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এলজিইডি এবং দাতা সংস্থা জাইকা’র যৌথ অর্থায়নে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে আমইল-ইন্দইল নামক ৬.১ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন প্রকল্পে মাটির কাজসহ প্রায় ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। গত ১৫ ফেব্রæয়ারি কাজটির উদ্বোধনের দিন থেকে অনিয়ম শুরু হয়। পানিতে টইটম্বুর খালের পানি সেচ দেয়ার পর থেকে কাদা কাটা শুরু করেন। এ কাজে শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকু মেশিন ব্যবহার করতে থাকেন।
নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা প্রকৌশল দফতর এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করার কর্তৃপক্ষ নয়। উপজেলা প্রকৌশল দফতর প্রথম পক্ষ হিসাবে দ্বিতীয় পক্ষ পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির বাস্তবায়ন কমিটি কাজটি নিয়ম মাফিক ও সঠিক ভাবে করছেন কি-না সেটা মনিটরিং এবং মজুরি প্রদান সংক্রান্ত সুপারিশ করবে। কিন্তু বর্তমানে নির্বাচিত পাবসস কমিটি নেই। এ অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশল দফতর কাকে দিয়ে খনন কাজ শুরু করেন। খাল খননের প্রধান উদ্দেশ্য হল এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠির আপদকালীন কর্মসংস্থান। শ্রমিক দিয়ে কোদালে কেটে কাজ করতে হবে। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশল দফতর নিজেদের করা নীতিমালা অমান্য করে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে খনন কাজ চালাতে থাকেন। অথচ, কাগজে-কলমে ৩০০ শ্রমিকের ১২ দল গঠন এবং দলপতির নামে ব্যাংক হিসাব খোলা রয়েছে। ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি ও নির্দেশে বলা হয়েছে খাল খনন কাজে এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠি বিশেষ করে ছিন্নমূল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত, স্বামী পরিত্যক্তা ও দুস্থমহিলাগণ অগ্রাধিকার পান তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু সেটা মানা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।