পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের ‘ছায়া’ এবং ‘ভরসা’ হয়ে ছিলেন রুনাই আহমেদ। রুনাই ‘ম্যানেজ’ করতেন ‘উচ্চ মহল’। সঙ্কটে-সন্ধিক্ষণে তিনি পিকে হালদারকে বুকে আগলে রাখতেন। সেই রুনাই আহমেদসহ অন্ততঃ অর্ধশত সহযোগীকে খুঁজছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরাই মধ্যে ৩৩ জনের সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছে। ৪৪ জনের বিদেশযাত্রায় দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পিকে হালদারসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১০ মামলা। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের চৌকস টিম পিকে হালদার এবং সহযোগী সম্পর্কে উদ্ঘাটন করেছে বহু চাঞ্চল্যকর নতুন তথ্য। এসব আমলে নিয়েই তাদের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন, সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে এ তথ্য।
সূত্রটি জানায়, রুনাই আহমেদ ছিলেন পি, কে হালদারের ছায়া। তাকে দিয়েই মূলত পি, কে হালদার বিভিন্ন উচ্চ মহল ম্যানেজ রাখতেন। জানা যায়, পি, কে হালদার উচ্চ মহলের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য রুনাই আহমেদকে ব্যবহার করতেন। পি, কে হালদার তার সহযোগীদের জাল এনআইডি দিয়ে রুনাই আহমেদ, রাফসান, সোহাগ, আব্দুল আলিমদের সহায়তায় রিলায়েন্স ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এবং এফএএস লিজিং থেকে প্রায় দুই ডজন ভুয়া কোম্পানীর নামে ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা তুলে আত্মসাত ও দেশের বাইরে পাচার করেছেন।
দুর্নীতি, জালিয়াতি ও নানাবিধ অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ হিসাবের অনুক‚লে ঋণের নামে লেয়ারিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ক্যাপিটাল মার্কেটে সরিয়ে নিয়ে আত্মসাত করেন পি, কে হালদার। এক্ষেত্রে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মাত্র দুটি ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।
‘ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিঃ’র এর এম.ডি মো. রাশেদুল, ভারপ্রাপ্ত এমডি মো. আবেদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এম,এ হাশেম এবং বোর্ড সদস্যগণ অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে যাচাই বাছাই ছাড়াই ঋণের বিপরীতে কোনো মর্টগেজ ছাড়া ১০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মালিকগণকে ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। বেনিফিশিয়ারীরা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ৭শ’ কোটি টাকা ঋণের নামে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন লেয়ারিং এর মাধ্যমে ভুয়া কোম্পানী ও বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবে এ অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন ও পাচার করেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ ও দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব ধারায় অনুমোদিত ১০ মামলায় আসামি করা হচ্ছে ৩৭ জনকে। মামলাগুলো দায়ের হলে এ সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা হবে ১৫টি। সব মামলাতেই পিকে হালদার ‘কমন’ আসামি।
বিভিন্ন কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে লুটে নেয়া অর্থের পরিমাণ থাকছে এজাহারে। এগুলো হচ্ছে, (১) কোলাসিন লিমিটেডের ঋণ- ৬০ কোটি টাকা। (২) লিপরো ইন্টারন্যাশনাল লিঃ-এর ঋণ ১৭৪ কোটি টাকা, (৩) উইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড-এর ঋণ ৬৮.৫০ কোটি টাকা (৪)ওকায়ামা লিমিটেড-এর ঋণ ৮৭.৬০ কোটি টাকা (৫) আর্থস্কোপ লিমিটেড-এর ঋণ ৯৮৯১৩৪৮৮৬/- টাকা, (৬) নিউট্রিক্যাল লিমিটেডের ঋণ ৬০ কোটি টাকা, আর. বি এন্টারপ্রাইজের ঋণ ৫৫ কোটি টাকা, (৭) ইমেক্সো-এর ঋণ ৫৮ কোটি টাকা, (৮) দ্রিনান অ্যাপারেলস লিমিটেডের ঋণ ৬০ কোটি টাকা এবং (৯) কনিকা এন্টারপ্রাইজের ঋণ ৬০ কোটি টাকা।
এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩৩ জনের সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছে। তারা হলেন, মোহাম্মদ আবু রাজীব মারুফ-ব্যবস্থাাপনা পরিচালক, দ্রিনান এ্যাপারেলস, ইমাম হোসেন-মালিক, ইমেক্সো, উত্তম কুমার মিস্ত্রি-ব্যবস্থাাপনা পরিচালক, লিপরো ইন্টারন্যাশনাল লি:, অনঙ্গ মোহন রায়-মালিক বর্ণ, উজ্জল কুমার নন্দী- চেয়ারম্যান, নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী লিমিটেড, অমিতাভ অধিকারী, পরিচালক, নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানী লিমিটেড, কাজী মমরেজ মাহমুদ, চেয়ারম্যান, দ্রিনান এ্যাপারেলস লিমিটেড, সুকুমার সাহা-পরিচালক, উইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, অনিন্দিতা সাহা, পরিচালক- উইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, প্রশান্ত দেউরী-আর্থস্কোপ লিমিটেড, চেয়ারম্যান; মীরা দেউরী, ,ব্যবস্থাাপনা পরিচালক-আর্থস্কোপ লিমিটেড, সুব্রত দাস- চেয়ারম্যান, ওকায়ামা লিমিটেড, রতন কুমার বিশ্বাস, মালিক-আরবি এন্টারপ্রাইজ, রাজিব সোম, পরিচালক, রাহমান কেমিক্যাল লি:, স্বপন কুমার মিস্ত্রি-পরিচালক,রাহমান কেমিক্যাল লি:, অভিজিত অধিকারী, ব্যবস্থাাপনা পরিচালক, সুখাদা প্রোপার্টিজ লিঃ, পূর্ণিমা রানী হালদার-পরিচালক, আনান কেমিক্যাল লি: স্বামী-স্বপন কুমার মিস্ত্রি, শঙ্খ বেপারি, মালিক, মুন এন্টারপ্রাইজ, প্রীতিশ কুমার হালদার-পরিচালক, আনান কেমিক্যাল লি:,রাশেদুল হক, সাবেক এমডি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, সৈয়দ আবেদ হাসান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত এমডি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, নাহিদা রুনাই, পিতা: মফিজুর রহমান, ভিপি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, আল মামুন সোহাগ, এভিপি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিতা: মৃত আনিছুর রহমান, রাফসান রিয়াদ চৌধুরী, সিনিয়র ম্যানেজার, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পাপিয়া ব্যানার্জী, পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, স্বামী: বাসুদেব ব্যানার্জী, এম নুরুল আলম , পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি:, মোঃ নওশের-উল ইসলাম,পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি:,বাসুদেব ব্যানার্জী-পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি:, নাসিম আনোয়ার, পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, মো: নুরুজ্জামান-পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এম. এ হাশেম-পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, মোহাম্মদ আবুল হাসেম-পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, জহিরুল আলম, (৬৯) পিতা: মৃত এজাহার মিয়া, পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস। এছাড়া, পি, কে হালদারের সহযোগী ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেমসহ ৪৪ জনের ইমিগ্রেশন বন্ধ চেয়ে ইমিগ্রেশন অথরিটির কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।