Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জিয়াউর রহমানের অবস্থান স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের এক ক্ষুদ্র জায়গায় : কৃষিমন্ত্রী

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২১, ৬:০৬ পিএম

পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর ও তাঁবেদাররা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নারকীয় গণহত্যার স্মৃতি মুছে ফেলতে তৎপর রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, যারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে ও অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে, তারা বাংলাদেশের চেতনাকে নষ্ট করতে চায়। বাংলাদেশকে হত্যা করতে চায়। যারা পাকিস্তানের উচ্ছিষ্টভোগী, দোসর ও তাঁবেদার- যারা পাকিস্তানের ধারায় ধর্মকে ব্যবহার করে দেশকে ও দেশের মানুষকে শোষণ করতে চায় তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে চায়। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আজ সোমবার টাঙ্গাইলে বধ্যভূমি সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র' নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
স্মৃতিকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করে মন্ত্রী ড. রাজ্জাক আরও বলেন, আমাদের সন্তানেরা আগামী প্রজন্ম ও তরুণ প্রজন্মের যারা বড় হচ্ছে- যাদের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম, জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম- তাদেরকে এই বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করতে উদ্বুদ্ধ করবে। এই স্মৃতিকেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরজাগরূক রাখবে। পাকিস্তানি ও তাদের এ দেশিয় দোসরদের সংগঠিত নির্যাতন ও গণহত্যাকে বিস্মৃতি থেকে রক্ষা করবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ একটি মহাকাব্য। আর এ মহাকাব্যের মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন মূল সংগঠক। তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক। সাত কোটি মানুষকে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। সাত কোটি নিরস্ত্র বাঙালিকে সংগঠিত করে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান কতটুকু? এ প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসের সত্যকে ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায় না। আজ ইতিহাসের সত্য উৎঘাটন হয়েছে যে, জিয়াউর রহমানের অবস্থান স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের এক ক্ষুদ্র জায়গায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি। এসময় টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, আতাউর রহমান খান, মো: হাছান ইমাম খাঁন সোহেল হাজারী, মো: ছানোয়ার হোসেন ও আহসানুল ইসলাম টিটু উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • এ,+কে,+এম+জামসেদ ৮ মার্চ, ২০২১, ৬:৩৮ পিএম says : 0
    জিয়াউর রহমানকে খাটো করা উচিত হবেনা। ১৯৭১এ তার অবদান অনেক বেশী।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ