পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, একসময় দেশে গবেষণার প্রায় পুরোটাই ছিল বিদেশি সাহায্যনির্ভর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিগবেষণায় ও কৃষির উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে উদারভাবে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। সে জন্য, প্রযুক্তিতে বিদেশনির্ভরতা কমাতে হবে।
গতকাল রোববার রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) আয়োজিত সংস্থাটির ‘সার্বিক অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে উপস্থিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেজিএফের চেয়ারম্যান ও বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। রাখেন কেজিএফের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (হর্টিকালচার) ড. শাহাবুদ্দীন আহমদ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, গবেষণা স¤প্রসারণের মাধ্যমে লাগসই দেশিয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। চাষাবাদ, উপকরণ ব্যবহার ও অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদনসহ সকল কৃষিপ্রযুক্তি নিজেদেরকে আরও বেশি উদ্ভাবন ও তা দ্রæততার সাথে স¤প্রসারণ করতে হবে। ড. রাজ্জাক বলেন, সরকার কেজিএফকে যে উদ্দেশ্যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে- সে লক্ষ্য অর্জনে অর্থের যথাযথ ও সুষ্ঠু ব্যবহার করতে হবে। প্রকল্প গ্রহণে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। যেনতেন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দিলে চলবে না। চরাঞ্চল, উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকা, পাহাড় বা হাওরের প্রতিকূল এলাকায় কীভাবে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়- সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট, লক্ষ্যনির্ধারণী ও ফলাফলনির্দিষ্ট গবেষণা করতে হবে। একইসাথে প্রকল্প বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও মনিটরিং কার্যক্রমকেও শক্তিশালী করতে হবে। কেজিএফের গবেষণা থেকে বা উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কৃষি উৎপাদন বা ফলন বৃদ্ধি কতটুকু হয়েছে- তার যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের একটি অলাভজনক ফাউন্ডেশন। কৃষিখাত, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে গবেষণা এবং উন্নয়নে কেজিএফ কাজ করে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৪টি প্রকল্পের বিপরীতে কেজিএফের বরাদ্দ ছিল ৪৫ কোটি টাকা। চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ৬৪টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ আছে ৩২ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।