পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিগত ৫০ বছরেও জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেনি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ছাড়া দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা কঠিন। দুর্ভাগ্যের বিষয় জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে দেশে অনৈক্য বিভেদ বিভাজন ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, এদেশে যেসব সমস্যা বিরাজমান সেগুলোর সমাধান সকলে মিলে করতে হবে। এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা আমাদের সকলের দায়িত্ব। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আমাদের শপথ হবে ‘বিভেদ নয় ঐক্যের’ মাধ্যমে দেশকে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হওয়া সত্ত্বেও শত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে রাজপথে প্রতিবাদ মুখর থেকেছে। আগামী দিনেও সবাইকে সাথে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী দেশ গড়ার রাজনীতি অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ। তাই ক্ষমতাসীনসহ সকল রাজনৈতিক দল ও মহলের প্রতি আমাদের আহ্বান, আসুন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির এ ঐতিহাসিক মুহূর্তে দেশের বৃহত্তর কল্যাণে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সুস্থ ও গঠনমূলক রাজনীতির চর্চা করি। হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি ভুলে গিয়ে দেশের আলেম-ওলামা, শিক্ষক-সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র-যুবক, শ্রমিক-কৃষক ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষসহ সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হই। সুখী সমৃদ্ধশালী ইনসাফপূর্ণ বাংলাদেশ গঠনে হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাই।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব, শাহাবুদ্দিন, ইজ্জতুল্লাহ, মোবারক হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর কুরবান আলী, ড. খলিলুর রহমান মাদানী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া, সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আবদুর রহমান মুসা, সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল জাব্বার, মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তব্যের শুরুতে বিশ্বমানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৫০তম বর্ষে পদার্পনের সুযোগ পেয়ে তিনি মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে লাখো শুকরিয়া আদায় করেন। সেই সাথে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির শুভ মুহূর্তে তিনি প্রিয় দেশবাসীকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষে পদার্পনের এই মুহূর্তে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহীদ ও সম্মানিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের বীরত্ব, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা প্রিয় জন্মভূমির স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বিশেষভাবে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীকে। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার, জনগণের মৌলিক অধিকার বিশেষ করে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ও দেশ গাড়ার কাজে যারা প্রচেষ্টা চালিয়েছেন আমি তাদের সকলকে স্মরণ করেন।
কমসূচি ঘোষণা
স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূতি উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর সকল অধঃস্তন শাখারসমূহকে নিম্নোক্ত কর্মসূচি পালনের তিনি আহ্বান জানান। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সংগঠনের সর্বস্তরে তৃর্ণমূল পর্যায়ে মিছিল/র্যালি, ৫০ বছরের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এবং দেশ গঠনে জামায়াতের ভূমিকা আলোচনা ও সেমিনারের মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরা, স্মারক ও বুকলেট প্রকাশ করা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে উপহার প্রদান এভং অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ সংস্কার ও নির্মাণে সহযোগিতা প্রদান, অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা, সন্তানদের শিক্ষা উপকরণ প্রদান, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা, রোগীর সেবা, করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা, কন্যা দায়গ্রস্থদের বিয়ে ও আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা প্রদান করা, অসহায়, এতিম, পথশিশু ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি পালন করা, বছরব্যাপি রচনা, ক্বেরাত, আজান, হামদ-নাত ও দেশাত্মবোধক গান ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা, ছাত্র, যুবক, শ্রমিক ও সাংস্কৃতিক বিভাগের মাধ্যমে খেলাধূলা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুস্ঠানের আয়োজন করা এবং এর মাধ্যমে সুস্থ সংস্কৃতি তুলে ধরা, দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা নিঃস্বার্থভাবে সংগ্রাম করেছেন, জীবন দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীদার করেছেন তাদের জন্য এবং প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হেফাজতের জন্য পরম করুনাময় আল্লাহর দরবারে দোয়া করা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল স্তরের সংগঠনগুলোকে এ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য তিনি নির্দেশ প্রদান করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।