যশোর বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত হয়ে বাংলাদেশ থেকে কানাডা পালিয়ে যান প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি.কে. হালদার। ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃপক্ষ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীদের ডিভিশন বেঞ্চে আগামি ১৫ মার্চ এ বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে।
পিকে হালদারের বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের প্রতিবেদন সম্পর্কে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মালিক বলেন, ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর দুদক ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানানোর জন্য বিশেষ শাখার (এসবি) সদর দফতরকে চিঠি দেয় পি কে হালদার যেন দেশত্যাগ না করতে পারেন। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ দুদকের ওই চিঠি হাতে পায় ২৩ অক্টোবর। ওইদিন বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে ইমিগ্রেশন পুলিশের সব শাখায় পৌঁছে দেয়া হয়। তবে চিঠি পাওয়ার দুই ঘণ্টা ৯ মিনিট আগেই (বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে) পি কে হালদার বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে পাশ্ববর্তী দেশে চলে যান। অর্থ্যাৎ পি কে হালদার দেশত্যাগ করার পরই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কীভাবে দেশত্যাগ করলেন তা জানতে চান হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে পিকে হালদার যেদিন দেশত্যাগ করেন সেদিন বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন তার তালিকা দাখিল করতে বলেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকার বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর সংবাদমাধ্যমে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতারে করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত আদেশ দেন আদালত। এ ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেন। প্রসঙ্গত: ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে কানাডা পাড়ি দেন পিকে হালদার।