Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বদলে গেছে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলন তিন কোটি ডোজ টিকা আনা হবে : টার্গেটে পৌঁছার পর টিকা নেব সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের নতুন মাইলফলক অর্জন ডিজিটাল দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২১, ১২:০২ এএম

বিশ্ব দরবারে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার কৃতিত্ব জনগণকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের এ অর্জন তুলে ধরতে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, এক যুগেই বদলে গেছে বাংলাদেশ। এ অর্জন দেশের আপামর জনসাধারণের। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এ মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। আমাদের এ উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এক যুগ আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার লক্ষ্যে আরো ৩ কোটি ডোজ টিকা আমদানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, টিাক দেয়ার টার্গেটে পৌঁছার পর আমি টিকা গ্রহণ করব। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে তার ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ অবশ্য আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি বাংলাদেশের একটি মহৎ এবং গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের সুসংবাদ দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশ গতকাল স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি। লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটল, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে। বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা।

১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বা ইউএন-সিডিপির সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে। জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, কোনো দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদন্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়।

উন্নয়নশীল দেশ হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৮২৭ ডলার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার। মানদন্ডের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৭ গুণ। মানবসম্পদ সূচকে নির্ধারিত মানদন্ড ৬৬-এর বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫.৪। অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকে উত্তরণের জন্য মানদন্ড নির্ধারিত ছিল ৩২ বা তার কম। কিন্তু ওই সময়ে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৭।

শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, উন্নয়নের চলমান গতিধারা বজায় থাকলে বাংলাদেশ অচিরেই উন্নত দেশের কাতারে উঠবে। আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এই অর্জনকে উৎসর্গ করছি আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মকে। যারা আজকের বাংলাদেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা পাকিস্তান আমলে বাংলার বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের পর উন্নয়নের লক্ষ্যে যাত্রার শুরুর কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একটা প্রদেশের প্রশাসনকে তিনি (বঙ্গবন্ধু) অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে একটা স্বাধীন দেশের উপযোগী করে একেবারে শূন্য হাতে দেশের পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। ভারত থেকে ফিরে আসা এক কোটি শরণার্থীসহ দেশের অভ্যন্তরে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষকে পুনর্বাসন করেন। শহীদ পরিবার, নির্যাতিত পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা, ঘরবাড়ি হারানো সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ৭ শতাংশ অতিক্রম করে। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশের উল্টো পথে যাত্রা এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর আবার উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।

নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফেরার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর আমি ব্যাপকভাবে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা সফর করি। আমি সে সময়ই প্রতিজ্ঞা করি যদি কোনোদিন আল্লাহ আমাকে সুযোগ দেন দেশ পরিচালনার, তাহলে গ্রামোন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব। গ্রামের মানুষের উন্নয়নে কিছু করব। তখন ৭০-৮০ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করত। আমার মনে হয়েছিল এদের যদি দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারি, তাহলেই বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। ১৯৯৬ সালে জনগণের রায় নিয়ে আমি প্রথমবার সরকার গঠন করে আমার চিন্তাচেতনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ বছরে জিডিপির আকার ছিল মাত্র ১০৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ সালে তা ৩৩০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮-০৯ বছরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১৫.৫৭ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৮-১৯ বছরে তা ৪০ দশমিক পাঁচ-চার বিলিয়ন ডলারে বৃদ্ধি পায়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০৮-০৯ বছরের ৭ দশমিক চার-সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪৪ দশমিক শূন্য-তিন বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০১ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮.৯ শতাংশ এবং হত-দারিদ্র্যের হার ছিল ৩৪.৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে শতকরা ২০.৫ ভাগ এবং হত-দারিদ্র্যের হার ১০.৫ শতাংশে।

২০০৯-১০ সালে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ছিল ৫,২৭১ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াটে উন্নীত এবং বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে ৯৯ শতাংশে উন্নীত হওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয় এবং মাছ-মাংস, ডিম, শাকসবজি উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। অভ্যন্তরীণ মুক্ত নদীনালায় মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে এবং ইলিশ উৎপাদনকারী ১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম।

উন্নয়ন অভিযাত্রায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর সুবিধা শহর থেকে প্রান্তিক গ্রাম পর্যায়েও বিস্তৃত হওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ এর সুবিধা কাজে লাগিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়ী ও মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে। তবে এ অর্জনকে সুসংহত এবং টেকসই করতে হবে।

এলক্ষ্যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পসহ বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। মাত্র ৯ মাসে আমরা আমাদের স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের এ উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক-লেখকদের হয়রানি চলছে, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল আইন যখন গড়ে তুলেছি, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের কর্তব্য। এ দায়িত্ব পালন করতে হবে এ কারণে যে, ছোট শিশু থেকে যুবক কেউ যেন বিপদে না পড়ে, অসমাজিক কার্যকলাপ, জঙ্গিবাদ বা কোনও ধরনের কিছুর সঙ্গে যেন জড়িত হতে না পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া একান্ত অপরিহার্য। আজকের দিনে বেশি কিছু বলতে চাই না। সমালোচনা যারা করছেন তারা করবেই। কারা সবচাইতে বেশি সমালোচনা করছেন সেটা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন। তারা কি বাস্তব পরিস্থিতি একবার উপলব্ধি করতে পারে বা করেছে? কেউ অসুখে মারা গেলে করার কি আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কিছু বলারও নেই। একটা চ্যানেল কী করেছে, কী দেখিয়েছে। কী বলতে চেয়েছে। এর সত্য-মিথ্যা দেশবাসী যাচাই করবেন। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের ইন্ধন থাকতে পারে এসব ঘটনায়। কেননা, তারা তো থেমে থাকবে না। তাছাড়া আওয়ামী লীগ বিরোধিতার বিষয়টি তো রয়েছেই।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার লক্ষ্যে আরো তিন কোটি ডোজ টিকা আমদানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশেও যাতে টিকা উৎপাদন করা যায়, সে ব্যবস্থাও সরকার নিচ্ছে। এরই মধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি, আরো তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য। যাতে করে আমাদের যেটা আছে, সেটা প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ আমরা শুরু করব। সাথে সাথেই যেন আবার টিকা আমাদের হাতে এসে যায়, একটা মানুষও যাতে এই টিকা থেকে বাদ না যায়, তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।

দেশেই টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ যদি টিকা উৎপাদন করতে না পারে, প্রয়োজনে আমাদের দেশ উৎপাদন করতে পারবে। আমি আমাদের বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিকে এরই মধ্যে বলেছি যে, কারা কারা এটা করতে পারবে, তার জন্য প্রস্তুত থাকা এবং এখানে সিড যাতে আনা যায়, তার ব্যবস্থা করা যায় কি-না, সেটাও আমরা দেখছি।

প্রাইমারি থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত- সকল স্কুল-কলেজের সব শিক্ষক-কর্মচারী এবং যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বা হোস্টেলে থাকবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী যে বয়সীদের টিকা দেওয়া যায়, তাদের সবাইকে টিকার আওতার আনার নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আমরা দেব, কারণ আমরা আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুব দ্রুত খুলতে চাই। পড়াশোনার পরিবেশটা ফিরিয়ে আনতে চাই। সবাই যাতে টিকা নেয়, সেজন্য গ্রাম পর্যন্ত প্রচার চালানো হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া- এটা তো আমার কর্তব্য। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুধু না, আমি জাতির পিতার কন্যা, এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সেই হিসেবে আমি মনে করি, আমার এটা কর্তব্য, আমরা করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী নিজে কবে টিকা নেবেন, সংবাদ সম্মেলনে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি টিকা অবশ্যই নেব, কিন্তু তার আগে দেশের কত পার্সেন্ট মানুষ নিতে পারল, কতজনকে দিতে পারলাম, সেটা আমি আগে দেখতে চাই। কারণ আমার একটা টিকার জন্য যদি আরেকটা মানুষের জীবন বাঁচে. সেটাই তো সবচেয় বড় কথা, তাই না? নিজের বয়স যে এখন ৭৫ বছর, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খোঁজ নিচ্ছি, আমাদের একটা টার্গেট করা আছে, এই সংখ্যা পর্যন্ত আগে আমি নির্দিষ্টভাবে দেব, এটা যখন হবে, তারপরে আমারটা আমি নেব, যদি টিকা বাঁচে।



 

Show all comments
  • Mashudur Rahman Titu ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:০৯ এএম says : 7
    জয়তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপনি আমাদের আশার আলো শেষ আশ্রয়স্থল।
    Total Reply(0) Reply
  • Jamilur Rahman ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:১০ এএম says : 10
    অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা আমাদের গর্ব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Nahid Hossain ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:১১ এএম says : 1
    হাল ধরিয়া পাল তুলিয়া জয়বাংলা জয়বাংলা বল শেখ মুজিবের সাধের নৌকা সামনে বাইয়া চল.. জনগণের পালের নায় হাল ধরেছে শেখ হাসিনা দার টানো ভাই মুজিব সেনা মুক্তি পাগল ভাই সকল শেখ হাসিনার সাধের নৌকা সামনে বাইয়া চল।
    Total Reply(0) Reply
  • Humayun Kabir ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:১২ এএম says : 1
    আলহামদুলিল্লাহ, এই মুহূর্তে গভীরভাবে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। হে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনি মানবতার মা জননেএী শেখ হাসিনার সুস্থতার সহিত নেক হায়াত বাড়িয়ে দিন।
    Total Reply(0) Reply
  • Monzurul Hassan ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:১৩ এএম says : 1
    দেশের সাধারণ মানুষের জীবন মানের উন্নয়নই শেখ হাসিনার ভিশন ও মিশন।
    Total Reply(0) Reply
  • Moinuddin Chisty ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:১৪ এএম says : 1
    Great achievement. Salute to honorable Prime Minister Jana Netry Sheikh Hasina.
    Total Reply(0) Reply
  • Hemanta Tripura ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১:১৪ এএম says : 1
    No compromise with terrorism. Let's wipe out their roots with mastermind.
    Total Reply(0) Reply
  • Syed wahidul Hassan ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৫৩ এএম says : 0
    It's a great achievement mashallah ma Allah bless you wahid Southend U.K. thankyou
    Total Reply(0) Reply
  • salman ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:৫৬ এএম says : 0
    Oboshoi JonoGon'er krititto, beshes kore RAMETENCE Joddha & Garments Joddha der. Hasena'r kono krititto na, ...
    Total Reply(0) Reply
  • Md haq ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৮:১৭ এএম says : 0
    Sheikh Hasina should introduce kingdom, she should be the queen for rest of her life. Why do we need MPS to loot people’s money?
    Total Reply(0) Reply
  • Jack+Ali ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৫৭ এএম says : 0
    Of course our country change.. Government have destroyed everything in our beloved country including people's morality. We are the slave of Awami League and India. Our Independent they have sold to India as such India is ruling our country indirectly.
    Total Reply(0) Reply
  • মতিউর রহমান ৭ মার্চ, ২০২১, ৭:০২ এএম says : 0
    অসাধারন অর্জন!!!!!!!!!!!!!এমন নেতৃত্ব দীর্ঘজীবি হউক, আল্লাহ সো: কাছে দোয়া করি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ