পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অসুস্থ হয়েও শুধুমাত্র টাকার অভাবে দেশের ৪০ ভাগ পোশাক শ্রমিক সময়মতো চিকিৎসা নিতে পারেন না। প্রতি বছর শতকরা ৪৩ ভাগ পোশাক শ্রমিক নানা রোগে আক্রান্ত হন। অসুস্থতাজনিত অনুপস্থিতির কারণে একজন শ্রমিকের কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতির কারনে গড়ে প্রতিমাসে ৪ দিনের বেতন হারাতে হয়।
আজ (শুক্রবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা বাস্তবায়নের নীতি-নির্ধারনী প্রণয়ন’ শীর্ষক এ সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপণ করেন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং সভাপত্বি করনে ড. নাসরিন সুলতানা।
সেখানে বলা হয়, একাধিক কারণে পোশাক শ্রমিকরা সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত হন। তাদের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের মূল উৎস এলাকার ওষুধের দোকান। দেশের ৯৯ ভাগ পোশাক কারখানা স্বাস্থ্য বীমার বাইরে রয়েছেন। সারাদেশের মাত্র ৩৫টি কারখানার শ্রমিকরা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, তৈরি পোশাক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ও এনজিও ‘ তৈরি পোশাক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বীমা’ শীর্ষক পাইলট কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। ইতিমধ্যে এগুলোর বেশিরভাগের সময়সীমা সম্পন্ন হতে চলেছে। পোশাক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বড় পরিসরে স্বাস্থ্য বীমা বাস্তবায়নে এসএনভি, সরকারের অর্থনীতি ইউনিট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের একটি দল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষণার অংশ হিসাবে তারা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যসোসিয়েশন, বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী, গনস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, বিজিএমইউএ এবং শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, বড় পরিসরে স্বাস্থ্য বীমা বাস্তবায়ন করতে ব্যবস্থাপনা, অর্থের উৎস নির্ধারণ, অভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধা প্যাকেজ, অভিন্ন প্রিমিয়াম, গিভেন্স রিঅ্যড্রেসিং, রেগুলেটরি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ইত্যাদি বিষয়ে মনসংযোগ দেয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র এক হাজার টাকার প্রিমিয়ামে বছরে ২৫ হাজার টাকার স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব। সারাদেশে কর্মরত প্রায় ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিকদের এই সুবিধা দিতে সরকারের প্রতি বছর মাত্র ১০৮ কোটি টাকা বিনোয়াগ করতে হবে। প্রিমিয়ামের বাকী টাকা শ্রমিক নিজে এবং কারখানা পরিশোধ করবে। এক্ষেত্রে সরকারে আন্তরিকতার ওপর নির্ভর করবে এই কাজ কত দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।