পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্রীষ্ম মৌসুম, সেচ ব্যবস্থা এবং রমজান মিলিয়ে উত্তর অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঙ্কট মোকাবালায় এবার বড় ভূমিকায় রয়েছে বড়পুকুরিয়া। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। কয়লার স্বল্পতার কারণে কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট আংশিক চালানো সম্ভব হবে। বাকি দুটি ইউনিট সারা বছরই বসে থাকবে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন ইনকিলাবকে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বছরের ৩৫৪ দিন চালানোর একটি শিডিউল তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে গ্রীষ্ম, সেচ ও রমজানের সময় ১০৯ দিনের জন্য খানিকটা বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। বাকি ২৪৫ দিন উৎপাদন কমিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদন হওয়ায় বিদ্যুত সরবরাহ করতে হয় অন্য এলাকা থেকে। এটি করতে গিয়ে রংপুর এবং রাজশাহী অঞ্চলে লো ভোল্টেজ দেখা দেয়। এ কারণে ওই অঞ্চলের জন্য একটি একক (একমাত্র) বিদ্যুৎকেন্দ্র হলেও বড়পুকুরিয়া কেন্দ্রটিকে চালিয়ে রাখা জরুরি হয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা জানান, বড়পুকুরিয়াতে নতুন ইউনিট নির্মাণের আগেই আমরা চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছিলাম। এখানে কেন্দ্র নির্মাণ করলে চালানোর জন্য কয়লা পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমাদের কথা না শুনে পিডিবি কেন্দ্রটি নির্মাণ করায় এখন বছরজুড়েই তা বসে থাকে। এখানে আমাদের কোনও দায় নেই।
পিডিবি’র সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ১২ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল এই ১০৯ দিন কেন্দ্রটি ১৮০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে, এমন কয়লার যোগান রয়েছে। এ জন্য প্রতি দিন ১ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন করে কয়লা সরবরাহ করা হচ্ছে। এই সময়ের জন্য মোট ২ লাখ ১২ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে। এখন কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৩৪ মেট্রিক টন। এছাড়া ৩১ মার্চ পর্যন্ত কয়লা সরবরাহ হবে ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৯৩ মেট্রিক টন। এছাড়া ১ মে থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৬০ থেকে ১৮০ মেগাওয়াট লোডে কেন্দ্রটি চালানো হবে। তখন দৈনিক কয়লার প্রয়োজন হবে এক হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। এরপর ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রটি চালানো হবে ১৫০ থেকে ১৭০ মেগাওয়াট লোডে। তখন কয়লার প্রয়োজন হবে দৈনিক ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। বড় পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এরমধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট করে মোট ২৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার দুটি কেন্দ্র আগেই বড় পুকুরিয়াতে ছিল। এর বাইরে নতুন করে আরও একটি ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম দুটি ইউনিট সারা বছরই বন্ধ থাকে। তৃতীয় ইউনিটটিও সারা বছর গড়ে অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে না। আমদানি করা কয়লা দিয়ে চালানোর কোনও উদ্যোগও বড়পুকুরিয়া কেন্দ্রে ফলপ্রসূ হওয়ার নয়। বাংলাদেশে এখন নদীপথে বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করা হয়। কয়লার বিশাল জাহাজ দক্ষিণ থেকে উত্তরে যাওয়ার মতো নাব্য নদীতে নেই। এছাড়া বড়পুকুরিয়া পর্যন্ত কোনও রেল লাইনও নেই। তাছাড়া দেশে কখনও রেল ওয়াগনে কয়লা পরিবহন করা হয় না। ফলে এই অঞ্চলে কয়লা না পাওয়া গেলে ভবিষ্যতেও বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে এভাবেই অলস বসে থাকতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।