Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রশ্ন : কোন অমুসলিম যদি খাওয়ার দাওয়াত দেয়, তাহলে কি তা গ্রহন করা যাবে? সে যদি পরিচিত হয় তাহলে কি করা উচিত?

শফিকুল ইসলাম
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:৫৭ পিএম

উত্তর : আসলে অমুসলিম বলে যুদ্ধ বা শত্রুতা চলাকালে তাদের দাওয়াত এভয়েড করা যায়। যাদের সাথে আমার দেশের, রাষ্ট্রের বা সম্প্রদায়ের অশান্তি চলছে, সেখানে আমার যাওয়া কোনো সৌহার্দ্যরে লক্ষণ নয়, তাদের প্রতি আমার প্রীতি বা ভালোবাসা প্রকাশ পায় এমন কিছু না করা উচিত। আর যদি সামাজিক স্বাভাবিক অবস্থা চলে তাহলে তাদের ঘরে বা তাদের অর্থে খাওয়া যায়। অমুসলিম হলেই এটা ইসলাম নিষেধ করে না। তবে, একটা জিনিষ লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তারা যে খাবারটা আমাকে দিচ্ছেন সেটা ব্যবহারিক দিক দিয়ে হালাল হতে হবে। যেমন তাদের জবাইকৃত পশু খাওয়া যাবে না। তাদের খাবারের মধ্যে এমন কিছু ব্যবহার করা হলে, যা মুসলমানদের খাওয়া জায়েজ নয়, তা খাওয়া যাবে না। এমনও হতে পারে আল্লাহর নাম ব্যতীত কোনো পশুর চর্বি দিয়ে রান্না করা কেনো খাবার আমাদের সামনে আসতে পারে, তখন সরাসরি না হলেও হারাম খাবার আমাদের খাওয়া হয়ে যাবে। তাই এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে তাদের দাওয়াত এভয়েড করতে হবে। যদি এমন হয় যে, হালাল খাদ্যই তারা খাওয়াচ্ছে, যেমন ভাত, সবজী বা কোনো মিষ্টান্ন বাইরে থেকে এনে খাওয়াচ্ছে, তাহলে তা খেতে কোনো অসুবিধা নেই। আপনার যদি মনে সন্দেহ থাকে যে, এদের সাথে খাওয়াটা আমার জন্য বস্তুগত মর্মগত দু’দিক দিয়েই আমি চাই না, তাহলে তাদেরকে কৌশলে না করা উচিত। মিথ্যা না বলেও তাদেরকে না করা যায় এমন কোনো উপায় বা বাহানা বের করা জায়েজ আছে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।

[email protected]

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • Fazlu ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:০৩ এএম says : 0
    খ্রিশ্চিয়ান মিশনারির লোকেরা যে ঈশায়ী ধর্ম প্রচার করেন, তার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে এই তত্ত্বকে স্বীকৃতি দেয়ানো যে যিশুখৃষ্ট আল্লাহ্‌র পুত্র। আর কাউকে খাওয়ানোর সময় তারা যে খাবারটা দেন সেটা হালাল না হারাম তার চেয়েও বড় সমস্যা এই খাবারটা তারা তাঁদের ভাষ্যমতে "প্রভু যিশু"র নামে উতসর্গ করেন। এদু'টোই হারাম হওয়ার কথা।
    Total Reply(0) Reply
  • লুৎফর ৩ মার্চ, ২০২১, ৭:২৬ পিএম says : 0
    মত্যবের জন্য খুব ভাল লাগল
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Suruj Ali ৮ মার্চ, ২০২১, ১১:৩০ এএম says : 0
    যে কোন কারনেই পুরুষাঙ্গ স্ফিত হলে বা শরীরে উত্তেজনা বোধ করার কিছুক্ষণ পর পুরুষাঙ্গ নিস্তেজ হলে সামান্য পিচ্ছিল তরল বের হয়। এ অবস্থায় কি শুধু অজু করেই নামাজ পড়া যাবে? নাকি কাপড় পালটানোর বাধ্যবাদকতা আছে? নাকি কাপড় পালটানো সহ গোসলও করতে হবে? অফিস টাইমে কাপড় পালটানো বা গোসল কোনটাই সম্ভব হবে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ