পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো জাতি। দিবসের প্রথম প্রহর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট দিতে থাকেন নেটিজেনরা। রক্তস্নানের মধ্য দিয়ে ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার এই দিনে সালাম, বরকত, রফিকসহ সব ভাষা শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। রক্ত দিয়ে কেনা প্রাণের বাংলা ভাষাকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করার আহ্বানও জানিয়েছেন কেউ কেউ।
৫২’ এর এই দিনে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য অনেকেই আত্মহুতি দিয়েছিলেন। এজন্যই দিনটি একই সঙ্গে গৌরবের ও শোকের। জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে সেইসব শহীদদের স্মরণ করছে। দিবসটি শুধু বাঙালির নয়, পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের। পৃথিবীর কয়েক হাজার ভাষাভাষী মানুষও দিনটি শ্রদ্ধাভরে পালন করছেন।
জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘একুশের চেতনার ব্যাবসা নয়, একদিনের লোক দেখানো চেতনাও নয়, ভাষাকে অবজ্ঞা করে শহীদ মিনারকে সম্মান জানানো নয়; একুশের প্রকৃত চেতনা মাতৃভাষাকে ভালোবাসা, লালন করা ও চর্চা করার মধ্যে নিহিত। একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশ মানে অধিকার আদায়ের লড়াই, একুশ মানে শোষনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। সবভুলে শহীদ মিনারে অবনত মন ও মস্তক ও বন্ধক রাখা বোধ নিয়ে ফুল দেয়া, প্রভাতফেরী করা, সাদাকালো ফ্যাশনে সজ্জিত করার একুশের পোশাকি চেতনা দূর হোক এই সমাজ থেকে।’’
সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি। যুদ্ধ করে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা একমাত্র জাতি আমরা। আমরা জাতি হিসেবে সৌভাগ্যবান, কেননা আমাদের রয়েছে অসংখ্য অগণিত গৌরবান্বিত ইতিহাস।১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষার জন্য আমাদের পূর্বসূরীদের মহান আত্মত্যাগের ফলশ্রুতিতে আজ বিশ্বব্যাপী এই দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। যাদের আত্মত্যাগের উছিলায় মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি, তাদের আত্মার শান্তির তরে আরশের মালিকের তরে প্রার্থনা। বাংলা ভাষার অপব্যবহার রোধ করতে হবে, আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে মধুর ভাষা আমার মায়ের মুখের ভাষাকে হেফাজত করতে হবে। ৫২ এর সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।’’
বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন লিখেছেন, ‘‘সকল ভাষা শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও সকল শহীদের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনায়...............অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি...।’’
আমিনুল ইসলাম রনি লিখেছেন, ‘‘২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে সকল ভাষা আন্দোলন কারি ও শহীদের রক্তের বিনিময়ে ,আমাদের এই মায়ের ভাষা বাংলা আমরা পেয়েছি। তাই তাদের সকলের প্রতি রইলো বিনম্র- শ্রদ্ধা ও আন্তরিক ভালোবাসা। এই নির্যাতিত বাঙ্গালী জাতির মুক্তির বার্তা হিসাবে ভাষা আন্দোলন ছিলো মূখ্য ভূমিকা। বাঙ্গালীর প্রতিটি আন্দলোন ছিলো এক এক মুক্তির বার্তা ও সাফল্যের অনুপ্রেরণা। আল্লাহ পাক যেনো সকল ভাষা আন্দোলনকারিদেরকে জান্নাত দান করেন।’’
কবিতার ছন্দে মোঃ নাইমুল ইসলাম দুর্জয় লিখেছেন, ‘‘সবুজের বুকে লাল,
সে তো উরবেই চির কাল।।।
যা বিশ্বাস করি না, তা লিখতে-বলতে চাই না, পারবোও না।
কিন্তু যা বিশ্বাস করি,
তা মুখ চেপে ধরলেও বলবো,
কলম কেড়ে নিলেও লিখবো,
মারলেও বলবো, কাটলেও বলবো, রক্তাক্ত করলেও বলবো।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো,
একুশে ফেব্রুয়ারি।।
আমি কি ভূলিতে পারি।
আমার রক্ত বরং ঝরিয়েই দাও, ওদের প্রতিটি বিন্দুর চিৎকার আরও প্রবল শূনতে পাবে।’’
আলী তালুকদার লিখেছেন, "একুশ আমাদের গর্ব, একুশ আমাদের অহংকার"। সবাইকে জানাই মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যাদের আত্মত্যাগের ফলে আমরা পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষা।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।