দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ৩৯১ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৩৯১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪২ হাজার ২৬৮ জন হয়েছে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৩২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬৭৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এতে করে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৩২ জন হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা ৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। ওটাই ছিল এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৭টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৮টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব তথা সর্বমোট ২১৪টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬০৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ৮ হাজার ২৫৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। তবে মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে। বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৯৯ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ লাখ ৩০ হাজার।