পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপপ্রচারে মনোযোগ দেয়া যাবে না। এত কিছু শুনলে সামনে এগোনো যায় না। যখন করোনার ভ্যাকসিন আসছে। নানাজন নানা কথা বলেছে, আমরা কিন্তু কোনো দিকে তাকাইনি। অ্যাডভান্স করে দিছি। যাতে অনুমোদন হলে আমরাই প্রথমে টিকা পাই। পেয়েছিও। ৪০ বছরের ওপর বয়সী ও মানুষের জন্য সবসময় কাজ করে এমন লোকদের আগে দিচ্ছি। আগে মানুষের মাঝে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও এখন সেটা কেটে গেছে।তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণে ভয়ের কিছু নেই। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে।
গতকাল কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। ১১ নভেম্বর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হলেও মহামারির কারণে পিছিয়ে গতকাল এ আয়োজন করা হয়।
যুবলীগ নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করতে গিয়েও যারা লোভের বশবর্তী হয়ে অর্থ-সম্পদকে বড় করে দেখেছে, তারা কিন্তু টিকতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বিএনপি ভেবেছিল দুই হাজার কোটি টাকা থাকলে, তাদের কেউ সরাতে পারবে না। কিন্তু তাদের সরতে হয়েছে। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, আমি নাকি বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবো না। আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’ কিন্তু শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এখনও আমরা ক্ষমতায় আছি বলে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারছি। এজন্য আমরা মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। যুবলীগের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, তাই শুধু বক্তৃতা-স্লোগান নয়, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে একজন মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না। দারিদ্র্য থাকবে না। যেটা ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু বানিয়েছিল। জনগণের ভাগ্য বদলের চেয়ে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর মানুষ বুঝতে পেরেছে— ক্ষমতা জনগণের জন্য, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন সবার কাজ থাকবে, ঘর থাকবে, সবাই খাবার পাবে, সবাই শিক্ষিত হবে। ভালো চিকিৎসা পাবে। বঙ্গবন্ধু এদেশের নিপীড়িত, অসহায়, বঞ্চিত, দারিদ্র্য-ক্ষুধাপীড়িত মানুষদের ভাগ্য পরিবর্তনে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। সেই সংগ্রামের ফসল স্বাধীন বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ শেষে জাতির পিতা দেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাকে হত্যা করা হলো। যারা ক্ষমতা দখল করলো, তারা এটাকে ভোগ-বিলাসের বস্তুতে রূপান্তরিত করলো। দেশ ও জনগণের কল্যাণের চিন্তা বাদ দিয়ে নিজেদের অর্থ-সম্পদ বানাতে মনোযোগী হলো। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন না করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে মনোযোগী ছিল তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারুণ্যই শক্তি। তরুণ সমাজের ব্যবসায় ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা রেখেছি৷ সহজে তারা ঋণ নিতে পারে। তরুণদের ট্রেনিং দিলেই ভালো করবে। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিস্তারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠাসহ নানা উদ্যোগের উদ্হারণ দেন তিনি। যুবকদের কর্মসংস্থান এবং যথাযোগ্যভাবে গড়ে তোলার জন্য যুবলীগকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সংগঠনটির সাংগঠনিক এই নেতা।
তিনি বলেন, করোনায় যুবলীগ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা, অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোগীবহন, লাশ দাফন, কৃষকের ধানকাটা ও সবজি বাজারজাতকরণে সহায়তা এভং এই শীতে কম্বল বিতরণ করেছে। এ জন্য আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ জন্য আট লাখ মানুষকে ঘর করে দিচ্ছি। পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাচ্ছি। সে অনুযায়ী কাজ করছি।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।