Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৭৫ পরবর্তীতে ক্ষমতা দখলকারীরা দেশটাকে ভোগ্যবস্তু বানিয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৪:৪২ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু বানিয়েছিল। জনগণের ভাগ্য বদলের চেয়ে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর মানুষ বুঝতে পেরেছে— ক্ষমতা জনগণের জন্য, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন— সবার কাজ থাকবে, ঘর থাকবে, সবাই খাবার পাবে, সবাই শিক্ষিত হবে। ভালো চিকিৎসা পাবে। বঙ্গবন্ধু এদেশের নিপীড়িত, অসহায়, বঞ্চিত, দারিদ্র্য-ক্ষুধাপীড়িত মানুষদের ভাগ্য পরিবর্তনে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। সেই সংগ্রামের ফসল স্বাধীন বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ শেষে জাতির পিতা দেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাকে হত্যা করা হলো। যারা ক্ষমতা দখল করলো, তারা এটাকে ভোগ-বিলাসের বস্তুতে রূপান্তরিত করলো। দেশ ও জনগণের কল্যাণের চিন্তা বাদ দিয়ে নিজেদের অর্থ-সম্পদ বানাতে মনোযোগী হলো। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন না করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে মনোযোগী ছিল তারা।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির জনক যেভাবে চেয়েছিলেন, তেমনই একটি শিক্ষা-সংস্কৃতি-অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ ও মর্যাদাশীল জাতি গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার জন্য গৃহীত নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি। বিশেষ করে তরুণদের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোর পুনঃউল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারুণ্যই শক্তি। তরুণ সমাজের ব্যবসায় ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা রেখেছি৷ সহজে তারা ঋণ নিতে পারে। তরুণদের ট্রেনিং দিলেই ভালো করবে। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিস্তারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠাসহ নানা উদ্যোগের উদ্হারণ দেন তিনি। যুবকদের কর্মসংস্থান এবং যথাযোগ্যভাবে গড়ে তোলার জন্য যুবলীগকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সংগঠনটির সাংগঠনিক এই নেতা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অনেক সংগ্রামের পর এদেশে গণতন্ত্র ফিরেছে। সেই সংগ্রামে যুবলীগেরও অবদান ছিল। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন যুবলীগেরই ছিল।’ যুবলীগকে আগামীতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করতে গিয়েও যারা লোভের বশবর্তী হয়ে অর্থ সম্পদকে বড় করে দেখেছে, তারা কিন্তু টিকতে পারেনি৷ বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বিএনপি ভেবেছিল— দুই হাজার কোটি টাকা থাকলে, তাদের কেউ সরাতে পারবে না। কিন্তু তাদের সরতে হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, আমি নাকি বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবো না। আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’ কিন্তু শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এখনও আমরা ক্ষমতায় আছি বলে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারছি। এজন্য আমরা মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে।

করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, অপপ্রচারে মনোযোগ দেওয়া যাবে না। এত কিছু শুনলে সামনে এগুনো যায় না। যখন করোনার ভ্যাকসিন আসছে, নানাজন নানা কথা বলেছে। আমরা কিন্তু কোনও দিকে তাকাইনি। অ্যাডভান্স (ভ্যাকসিনের মূল্য) করে দিয়েছি। যাতে অনুমোদন হলে আমরাই প্রথমে টিকা পাই। পেয়েছিও। ৪০ বছরের ওপরে বয়সী এবং মানুষের জন্য যারা সব সময় কাজ করে, এমন লোকদের আগে দিচ্ছি।’ আগে মানুষের মাঝে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও এখন সেটা কেটে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণে ভয়ের কিছু নেই। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ