পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাষাসৈনিক এ কে এম বজলুর রহমান এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব, ভাষাসৈনিক এ কে এম বজলুর রহমান এর ৩৩তম মৃত্যবার্ষিকী। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। একজন নিষ্ঠাবান কর্মী ও সংগঠক হিসেবে একই সঙ্গে তৎকালীন আওয়ামী লীগের দুর্দিনের যোদ্ধা। বারবার জেল খেটেছেন, মাথায় হুলিয়া নিয়ে ফেরারী ছিলেন, অসংখ্যবার নির্যাতিত হয়েছেন। ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এ কে এম বজলুর রহমান। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। ১৯৫৪ সালে নরসিংদীর রায়পুরায় যুক্তফ্রন্ট প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পান এ কে বজলুর রহমানকে। সেই সময় তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হন। ১৯৫৫ সনে এ কে এম বজলুর রহমান নারায়ণগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ছয় দফার পক্ষে আন্দোলন জোরদার করেন।
এ কে এম বজলুর রহমান ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে বলিষ্ঠ ভ‚মিকা পালন করেন। ১৯৭০ এর পাকিস্তান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে ঝাঁপিয়ে পড়েন সম্মুখ সমরে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনকের নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর এ কে এম বজলুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাঁকে ক্যান্টনম্যান্টে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। কিছুদিন পরেই পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ১৯৮৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি ইন্তেকাল করেন বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী ও সহচর এ কে এম বজলুর রহমান। তাঁর মৃত্যু দিবস উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিলসহ স্মরণসভার আয়োজন করেছে এ কে এম বজলুর রহমান ফাউন্ডেশন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।