পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে বাংলাদেশের ১০ ব্যক্তির সিন্ডিকেটসহ বিশ্বে^র সকল দেশের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সিন্ডিকেট ভেঙে করে সকল রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট বায়রা।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ড. মোহাম্মদ ফারুক। আরো উপস্থিত ছিলেন, এশিয়ান টেলিভিশনের কর্ণধার হারুন-অর-রশিদ, গোলাম ফারুক, রেদওয়ান খান বোরহান, মোস্তফা মাহমুদ ও সিরাজ মিয়া।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে একহাজার দুইশত এজেন্সি থাকলেও মাত্র দশটি প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেট মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে লাইসেন্স নিলেও কাজ করতে পারে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠান। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের উৎখাত করতে হবে। ড. মোহাম্মদ ফারুক বলেন, এই সিন্ডিকেট বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে শ্রম বাজার নষ্ট করেছে। ২০১৬ সালে ১৫ লাখ জনশক্তি রফতানি করার কথা থাকলেও ২ লাখ ৭৪ হাজার জনশক্তি পাঠিয়েছে। কিন্তু ১২ লাখ লোকের মেডিকেল করেছিল। মেডিকেলও করা হয়েছিল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে। এছাড়া সিন্ডিকেটের কারণে জনপ্রতি বিদেশ যাবার খরচও বেশি পড়েছিল। বর্তমানে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। এই সিন্ডিকেট আবারও অপতৎপরতা শুরু করেছে যেন শ্রমবাজার খোলা হলে আবারও তারা সরকারকে ভুল বুঝিয়ে ফায়দা লুটতে পারে।
হারুন-অর-রশিদ বলেন, একহাজার দুইশত এজেন্সি সরকারকে ১৮ লাখ টাকা জামানত দিয়ে ব্যবসা করছে। অথচ কাউকে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। কেউ খাবে কেউ খাবে না তা হবে না, তা হবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকল জায়গায় অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি শ্রমবাজারের এই সিন্ডিকেট ভাঙবে এবং আগামীতে সকল এজেন্সি কাজ করার সুযোগ পাবে।
রেদওয়ান খান বোরহান বলেন, লাইসেন্সের কোন শ্রেণি বিন্যাস নেই। অথচ কাউকে কাজ করতে দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন শ্রমবাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই সিন্ডিকেট ভেঙে সকল রিক্রুটিং এজেন্সিতে কাজ করার সযোগ দেয়া হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।