পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
“অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন” শিরোনামে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন আল জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদনকে বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক মদতপুষ্ট অপপ্রচার আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। এক বিবৃতিতে এ অবস্থান জানায় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ওই প্রতিবেদন প্রচার করে আল জাজিরা।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার আল জাজিরা নিউজ চ্যানেলের ‘‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’’ শিরোনামে প্রচারিত একটি মিথ্যা ও মানহানিকর প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে পেরেছে। এটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর সিরিজ, যা উগ্রবাদী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কুখ্যাত ব্যক্তিদের যোগসাজশে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট অপপ্রচার বলে স্পষ্ট। একাত্তরে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরোধিতা করছে সংগঠনটি।’
প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ বাঙালিকে হত্যা ও দুই লাখ নারীকে ধর্ষণে জামায়াতের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি আল জাজিরার রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক প্রচারণার প্রতিচ্ছবি। এর প্রধান ভাষ্যকার ডেভিড বার্গম্যানকে মুক্তিযুদ্ধে সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা চ্যালেঞ্জের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।’
‘এটি লক্ষ্যণীয় যে, আল জাজিরার অভিযোগের মূল ‘উৎস’ হলেন একজন কথিত আন্তর্জাতিক অপরাধী, যাকে আল-জাজিরা নিজেই ‘মানসিক রোগী’ বলে দাবি করেছে। প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের অন্য সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে ওই ব্যক্তির যোগসাজশের ছিটেফোঁটা প্রমাণও নেই। মানসিকভাবে অপ্রকৃতস্থ কোনো ব্যক্তির কথার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া একটি আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেলের পক্ষে অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।