পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারীর সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। গত শনিবার এক ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে তার নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্জনকে ‘অনন্য ও অতুলনীয়’ অভিহিত করেন তারা।
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গত এক দশকে বাংলাদেশের পক্ষে যা অর্জন করেছে তা পুরোই ব্যতিক্রমী। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে এখনও দুই দেশের সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহযোগিতার বড় সুযোগ রয়েছে। ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার যে উন্নয়ন অর্জন করেছেন, তা যে কোনো তুলনায় অনন্য। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি অপরিবর্তিত এবং দুই দেশের সম্পর্কের শিকড় যে কোনো কৌশলগত অংশীদারিত্বকে ছাড়িয়ে যায়।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশের অগ্রগতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্বীকৃত। জাতি হিসেবে টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান বাঘ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশি জনগণের সহনশীলতার প্রশংসা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চতুর্থ দফা ও চলতি মেয়াদে দুই বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে ‘পলিটিক্যাল লিডারশিপ: দেন অ্যান্ড নাউ’-শীর্ষক এই বিশেষ ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন তারা। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে ‘লিডারশিপ ম্যাটারস: হাউ শেখ হাসিনা ইজ লিডিং বাংলাদেশ থ্রু দা প্যানডেমিক’ শীর্ষক একটি নতুন প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচার করা হয়। এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: দ্যা গ্লোবাল লিডার ট্রান্সসেন্ডিং টাইম অ্যান্ড বাউন্ডারিস’ নামে একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রকাশনাটির উদ্বোধন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ‘সোনার বাংলা’ গড়ার ক্ষেত্রে জাতির পিতার নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। মহামারীকালে খাদ্য, ফসল ও আশ্রয় নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থার নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে অর্থনীতি ও সমাজের ওপর মহামারীর বিরূপ প্রভাব হ্রাস করার উপায় হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যে সুরক্ষা কর্মসূচি এবং প্রণোদনা প্যাকেজগুলো দিয়েছেন, তার প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সমাপনী বক্তব্যে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির বলেন, শেখ হাসিনার বাস্তববাদী ও সময়োপযোগী নীতিমালা- কর্মসূচির কারণে আজকের বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের রোল মডেল।
মহামারীকালে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রশংসা করে বিশ্বের সব দেশ, বিশেষত এশীয় দেশগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। অন্যদের মধ্যে আলজেরিয়া, ভিয়েতনাম ও কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ১২ বছরে পদ্মা সেতু, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ। এছাড়া রোহিঙ্গা সঙ্কটের মতো মানবিক ইস্যুতে শেখ হাসিনা কীভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং এ প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করেছেন, সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন তিনি। ব্যারিস্টার ফরহাদ জানান, গত শনিবার প্রকাশিত ভিডিও ডকুমেন্টারি এবং স্মৃতি প্রকাশনা ‘শিগগির’ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।