Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেরির সাথে খালেদা জিয়ার আধঘণ্টার বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ​

প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৬:৫২ পিএম, ২৯ আগস্ট, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে ‘বিস্তারিত’ কথা বলেছেন​ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম​ খালেদা জিয়া।

​রাজধানীর বারিধারায় যুক্তরাষ্ট্রের চেন্সারি কমপ্লেক্স ভবনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, বৈঠকে জন কেরির সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য, আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব সহকারে কাজ করতে চান, আগ্রহী।

​ তারা(যুক্তরাষ্ট্র) আশাবাদী, আমরাও(বিএনপি) আশাবাদী যে মার্কিন সহযোগিতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নও হবে, একই সঙ্গে এখানে (বাংলাদেশ) গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।​ ​তবে নির্বাচনের বিষয়ে কি ধরণের আলোচনা হয়েছেন, তার বিস্তারিত কিছু বলেননি​ মির্জা​​ ফখরুল​ ​ ইসলাম​। বেগম ​খালেদা জিয়ার তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। তারা হলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহ উদ্দিন।​ ​
বিকাল সোয়া ৪টায় দলীয় পতাকাবাহী ক্রিম রঙের নিশান পেট্রোল গাড়িতে বিএনপি চেয়ারপার্সন দূতাবাসে আসেন। গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে তিনি বারিধারা দূতাবাসে আসেন।​ ​এর কিছুক্ষণ আগেই বিকাল ৪টায় ধানমন্ডির অনুষ্ঠান শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বেসিতে আসেন। বৈঠক শেষ করে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে দূতাবাস থেকে বেরিয়ে যায়।
গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ সামনে মির্জা ফখরুল জানান, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে ৩৫ মিনিট বৈঠক হয়েছে। ৪টা ৩৫ মিনিট থেকে ৩৫ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠক হয়।

বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, জন কেরি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। আমাদের দলের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তার সঙ্গে আরো তিন সদস্যসহ বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে আমরা বৈঠক করতে বসি।

বৈঠকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকারের বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে। আইনের শাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশে যেটা এখন অত্যন্ত সংকটময় বিষয় যে, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস এ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা হয়েছে।

​ দেশের একটা স্থিতিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সঙ্গে তারা সহযোগিতা করছেন, আমাদের দেশের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন।​
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল

​ইসলাম ​বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে।​ ​আগামী নির্বাচন সম্পর্কে,​ ​গণতন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।​
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদল ছাড়াও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাটও ছিলেন।

২০১২ সালের ৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন দুইদিনের সফরে ঢাকায় আসলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিলো।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুইজারল্যান্ডে জেনেভা থেকে ৯ ঘণ্টার সফরে ঢাকায় আসেন। হযরত শাহ জালাল (রহ.) ​আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ