পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর ডেমরা এলাকার মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলের কাছে দুটি রাস্তার পাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কারখানা। ওই পথেই দেয়াল নির্মাণ করে কারখানার পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন।
এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাদের মালিকানাধীন মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলের চারদিকে দেয়াল তুলেছে। দীর্ঘদিন ল্যান্ডফিলটির চারদিকে চলাচলের রাস্তা ছিল। এর মধ্যে দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের রাস্তার পাশে শতাধিক ছোটবড় কারখানা গড়ে ওঠে। এসব কারখানাগুলোর মধ্যে প্যাকেজিং, স্টিল টিউব, কৃষিপণ্য, বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, স্যানিটারি মালামাল তৈরির কারখানা, রড প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিভিন্ন কুটির শিল্প রয়েছে।
কারখানাগুলোর মালিকরা করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তবে হঠাৎ করে সিটি করপোরেশন রাস্তাগুলোর বাইরের অংশে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করছে। এতে প্রায় প্রতিটি দোকান ও কারখানার প্রবেশপথই বন্ধ হতে চলেছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় কারখানাগুলো এখন কার্যত অচল। কর্মরত কয়েক হাজার শ্রমিকও পড়েছে বিপাকে। গত দুই দিন তারা ঠিকমতো কাজও করতে পারেনি। ব্যবসায়ীরা বলেন, রাস্তাসংলগ্ন ভূমি মালিকরা ৭ থেকে ৮টি ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক খুঁটি নিজ খরচে স্থাপন করেছে। এই কারখানাগুলো নিয়মিত ভ্যাটও দিচ্ছে। গত ২০-২৫ বছর ধরেই তারা রাস্তা দুটি ব্যবহার করে আসছেন। এর আগে সিটি করপোরেশন তাদের প্রতিটি প্লটের সামনে চলাচলের জন্য রাস্তা রেখেছিল। হঠাৎ সেগুলোও বন্ধ করে দেয়াল তুলে দেওয়া হচ্ছে। তারা জানান, ডিএসসিসি তাদের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাস্তবায়ন করলে কারখানাগুলো বন্ধ হবে এবং বিপুল সংখ্যক কর্মী বেকার হবে। ডাম্পিং স্টেশনের নিরাপত্তা বিবেচনায় স্থানীয় সহস্র নাগরিকের উপার্জনের পথ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে আক্ষেপ জানিয়ে তারা বলছেন, আমরা কি ময়লার চেয়েও মূল্যহীন?
স¤প্রতি করপোরেশনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা মেয়র ও কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু প্রতিকার পাননি।
কারখানার মালিকরা বলছেন, প্রতি মাসেই তারা লাখ লাখ টাকা ভ্যাট দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। তারা নিয়মিত আয়করও পরিশোধ করেন, পরিশোধ করেন ডিএসসিসি’র হোল্ডিং ট্যাক্সও। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহযোগিতা বা সুবিধা তারা পাননি। তা সত্তে¡ও সব আইন-কানুন মেনেই তারা কারখানা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ডিএসসিসির উঁচু প্রাচীর তোলার কার্যক্রমে তাদের এখন উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বলতে গেলে পথে বসার দশা। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী মাসুদ রানা, ফারুক আলম, পারভেজ উদ্দিন, আউয়াল চৌধুরীসহ শতাধিক ব্যবসায়ী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।