পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে সড়ক অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে পুনরায় আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এতে সড়কের চারটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে সরকার।
চিঠিতে দেয়া চারটি খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাবের প্রথমটি ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর। সংক্ষেপে একে বলে উইকেয়ার। এ প্রকল্পের আওতায় তিন বছরের মধ্যে যশোর-ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া অঞ্চলে ইকোনমিক করিডোর নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে দাতা সংস্থাটি। ‘উইকেয়ার’-এর বর্তমান অবস্থা বিশেষ করে ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণকাজ, ডিজাইন রিভিউ ও সেফগার্ড পরামর্শকের ব্যাপারে তারা আলোচনায় বসতে চাইছে বিশ্বব্যাংক।
এর বাইরে আন্তর্জাতিক সড়ক যোগাযোগ করিডোর বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল) তথা নতুন আঞ্চলিক কানেকটিভিতেও ভূমিকা রাখতে চায় বিশ্বব্যাংক। এ চার দেশের মধ্যে সরাসরি পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলেও এখনও বাস্তবে রূপ পায়নি। এ নিয়ে মতদ্বৈততার কারণে পিছিয়ে রয়েছে উদ্যোগটি। এমন বাস্তবতায় বিশ্বব্যাংক পাশে থাকতে চাইছে।
চিঠিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, ভারত ও নেপালের পরিবহন সচিবের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। এছাড়া সড়ক খাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের কারিগরি সহায়তা দিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে সহায়তা দিতে চায় তারা। শুধু তাই নয়, চলতি বছরের জুনের আগ পর্যন্ত সড়ক নিরাপত্তায় কী কী প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বা নেয়ার টার্গেট আছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বিআরটি প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা ছিল বিশ্বব্যাংকের। যেহেতু ওই ঋণ নেয়া হচ্ছে না, তাই সংস্থাটি বলছে প্রকল্পটির অর্থ আরবান (শহুরে) অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করতে। এক্ষেত্রে আউটার রিং রোড ও বাস রুট র্যাশনালাইজেশন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ঋণ দেয়ার প্রাথমিক প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। এছাড়া সংস্থাটি যেহেতু অবকাঠামো খাতে আরও সহযোগিতা চায়, তাই তাদের প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু প্রকল্প সুপারিশ করা হবে।
জানা গেছে, রাজধানীতে মহাখালী ফ্লাইওভার নির্মাণে ১৯৯৮ সালে ঋণ দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। যদিও ফ্লাইওভারটি নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এরপর বাংলাদেশের সড়ক অবকাঠামো ঋণ দেয়া বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি। এছাড়া পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ দিতে চুক্তি করলেও পরে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তা বাতিল হয়ে যায়।
এ ছাড়া বিমানবন্দর থেকে মহাখালী পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণ প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। তবে সে প্রকল্পটি বাতিল করে দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে সড়ক অবকাঠামো ঋণ দেয়া বন্ধ রয়েছে বিশ্বব্যাংকের। তবে বিআরটি প্রকল্পের ঋণ অন্য প্রকল্পে স্থানান্তরের প্রস্তাব করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাংকের চিঠির পর এরই মধ্যে বৈঠক হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শিগগিরই তাদের ফিরতি চিঠি দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।