পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হলেও নেপাল কম্যুনিস্ট পার্টির জন্য দলীয় বিভাজনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির আইন। কোন এক পক্ষ নতুন দল হিসাবে নিজেকেদেরকে নিবন্ধিত না করলে, তাদের জন্য বিভক্ত হওয়ার কোনও উপায় নেই।
রোববার নেপালের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, বিবরণী এবং সরবরাহিত তথ্যের ভিত্তিতে, তারা কেবলমাত্র ২০১৮ সালের মে মাসে গঠিত নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিকে বৈধ দল হিসাবে স্বীকৃতি দিতে পারে, যার সভাপতিদ্বয় হলেন কেপি শর্মা অলি এবং পুষ্প কামাল দহাল। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় অলি সংসদ ভেঙে দেয়ার ফলে নেপাল কম্যুনিস্ট পার্টি রাজনৈতিকভাবে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একদল অলির নেতৃত্বে রয়েছে। অন্য দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন দহাল এবং মাধব কুমার নেপাল।
রাজনৈতিকভাবে এখন দলটি দুই ভাগ হয়ে গিয়েছে। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (অলি দল) এবং নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (দহাল-নেপাল দল)। তবে কমিশন দুটি দলকেই বৈধ বলে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে। বিরোধ উত্থাপিত হওয়ার পরে উভয় পক্ষের নেয়া সিদ্ধান্তগুলো দলের আইনবিরোধী বলে উল্লেখ করে কমিশন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির উভয় চেয়ারম্যান অলি ও দহালকে অবহিত করেছে যে, তারা দলের বিদ্যমান তথ্য বজায় রাখবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোববার কমিশনের এই সিদ্ধান্ত দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ উত্থানের ৩৩ দিন পরে এসেছিল, যার অর্থ রাজনৈতিক দল আইন অ্যাক্ট-২০১৭ এর ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনও পক্ষই বৈধতা দাবি করতে পারে না। এই বিধান অনুসারে, যে দলটি মূল দলটির মালিকানা, সিলমোহর, পতাকা ও প্রতীক দাবি করতে চায়, তাদের ৩০ দিনের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কমপক্ষে ৪০ শতাংশ সদস্যের স্বাক্ষরের সাথে সমস্ত নথিপত্র কমিশনে জমা দিতে হবে। কিন্তু উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়ার ৩০ দিনেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। অলির সুপারিশে প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী প্রতিনিধি পরিষদকে ভেঙে দেন এবং ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন। এর দু’দিন পরে- ২২ ডিসেম্বর দু'পক্ষই নিজস্ব কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক করার পরে দলটিতে এই বিরোধ উঠে আসে।
অলি নেতৃত্বাধীন দলটি কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সংখ্যা ৪৪৫ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ১৯৯ জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কমিশনে দাবী জমা দেয়ার সময় জানিয়েছে যে, এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রয়েছেন ১ হাজার ৫০১ জন। একই দিন, দহাল-নেপাল নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী অলিকে দলীয় সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার জায়গায় নেপালকে তার জায়গায় সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করে। পরের দিন তারা কমিশনকে তাদের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করে। কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা যদি রাজনৈতিক দল আইনের ৪৪ ধারার অধীনে চলে যাই তবে দেখা যাচ্ছে যে, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির উভয় পক্ষের বৈধতা দাবি করার জন্য দরজা বন্ধ। কারণ, সময়সীমা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। সূত্র : কাঠমান্ডু পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।