পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, সার্বিক দারিদ্র্যের হার ৪২% পৌঁছানোই প্রমাণ করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের জরিপ বলছে, করোনার প্রভাবে দেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার (আপার প্রভার্টি রেট) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশ। তিনি বলেন, বিবিএসের খানা জরিপ অনুসারে যা ২০১৬ সালে গ্রামাঞ্চলে ছিলো ২৬.৪ শতাংশ, ২০১৮ সালে ২৪.৫ শতাংশ ছিলো।
শহরাঞ্চলে ২০১৬ সালে ১৮.৯ শতাংশ ২০১৮ তে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ ছিলো। কিন্তু করোনার প্রভাবে গ্রাম অঞ্চলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫.৩ এবং শহর অঞ্চলে ৩৫.৩ শতাংশ। মানুষ এই সময়ে খাদ্যবর্হিভূত ব্যয় কমিয়ে, সঞ্চয় ভেঙে, ঋণ নিয়ে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে কোনোমতে জীবন ধারণ করেছে। ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ পরিবার খাপ খাওয়ানোর কোনো পথই খুঁজে পায়নি। তিনি বলেন, রাষ্ট্রকে বছরের পর বছর কর দেয় বিপদের মুহূর্তে রাষ্ট্রকে পাশে পাওয়ার আশায়। কিন্তু করোনার মহা বিপদের সময় সরকারের ব্যর্থতার কারণে মানুষ তাদের ৫০ বছরের স্বাধীন রাষ্ট্রকে পাশে পায়নি। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক। তিনি বলেন, রাষ্ট্রকে জনকল্যাণমুখী করতে ইসলামই একমাত্র কার্যকর পন্থা হিসেবে মানুষের কাছে আজ প্রমাণিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ তম বছরে এসে রাষ্ট্র নীতি পছন্দে মানুষের মতামতের গুরুত্ব অবশ্যই দিতে হবে। সেজন্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অন্যথায় বাংলার মানুষ জানে কি করে ভোটাধিকার ফিরিয়ে নিতে হয়। আশা করবো সরকার মানুষকে সেই কঠিন পথ বেছে নিতে বাধ্য করবে না।
আজ বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, তথ্য উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. আক্কাছ আলী সরকার, কেএম আতিকুর রহমান, আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও মুফতী মোস্তফা কামাল।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, শাসকশ্রেণী আর শাসক গোষ্ঠির ব্যর্থতায় জনগণের স্বপ্নভঙ্গ আজ ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে। তাদের কাছে নাগরিক ও ভোটাধিকার বার বার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রুদ্ধ করে দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালু করা হয়েছে।
আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ মহানগর কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, দক্ষিণ সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া। যৌথসভায় ৪ ফেব্রুয়ারি নগর সম্মেলন সফলের আহ্বান আহ্বান জানানো হয় এবং সম্মেলন সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীনতার ঘোষণার বিপরীতে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এক দেশে দুই সমাজ দুই অর্থনীতি কায়েম হয়েছে। তিনি বলেন, এই জনপদের মানুষের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতার সংগ্রাম। ইতিহাসের রক্তক্ষয়ী এই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার স্বাধীন রাজনৈতিক ভূখন্ড অর্জন করে। আজ দেশে মানুষের নাগরিক ও ভোটের অধিকার নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।