প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : শশুর পুত্রবধুর সামনে পর্দা নেই। যেমন নেই নিজের বাবা, ভাই বা মামার সামনে নেই। শশুর যদি ধর্মীয় জ্ঞানে জ্ঞানী বা শিক্ষিত হন, তিনি নিজের কন্যার সাথে যেই মন নিয়ে রিকসায় বসবেন, পুত্রবধুর সাথেও যদি সেই নিয়েই বসেন, তাহলে জায়েজ হতে পারে। কিন্তু শশুর যদি শরীয়তসম্মত জ্ঞান না রাখেন, মুত্তাকী, পরহেজগার নামাজী না হন, তাহলে তার সাথে না বসা উচিত। আর যে শশুর নিরাপদ না, তার সামনে না যাওয়ায় উচিত। এটা বুঝতে হবে। একটা সমস্যা হলো যে, যদি শশুর কোনো কারণে যৌন আকাঙ্খা নিয়ে পুত্রবধুর সঙ্গে একসঙ্গে বসেন বা স্পর্শ করেন, তাহলে তাদের অজান্তেই তার পুত্র এবং পুত্রবধুর বিয়েটি ভেঙ্গে যাবে। এই ভাঙ্গাটা সারাজীবনের জন্যই। তারা আর কোনো সুরতেই কখনো এক হতে পারবে না। এজন্য শশুরের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। পুত্রবধুর কাছ থেকে শশুরের শারীরিক খেদমত নেওয়া জায়েজ না। যদি শশুর একদম মৃত্যুশয্যায় বা এমন অথর্ব হন যে, যার কোনো অনুভ‚তি নাই বা খারাপ চিন্তা করার সময় সুযোগ নাই, সেখানে কোনো রকম জায়েজ। এটা বেগানা নার্সের বেলায়ও জায়েজ। কিন্তু তিনি যদি সুস্থ সবল ব্যক্তি হন, তাহলে উনার শারীরিক খেদমত শুধু উনার বিবি করবেন। আর যদি বিবি না থাকে, তাহলে পুত্র করবে। পুত্রবধু কোনো ধরণের শারীরিক খেদমত করবে না, কারণ অসর্তকা বশত কোনো ধরণের অনুভ‚তি হতে পারে, যা তার ছেলে ও বউয়ের মধ্যে বিচ্ছেদে রূপ নিতে পারে। সুতরাং শশুরের শারীরিক খেদমত করা যাবে না।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।