পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে বহুল প্রতিক্ষিত করোনা প্রতিশেধক টিকা এসেছে দেশে। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পাঠানো করোনাভাইরাসের ২০ লাখ ডোজ টিকা অনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে টিকার এই চালান নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে টিকার দুটি বাক্স তুলে দিয়ে হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বসমী। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাষ্ট্রাজেনেকার এই টিকা পৌঁছে যাওয়ায় দ্রুতই দেশে টিকাদান শুরু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময় দিলেই ভ্যাকসিন আনুষ্ঠানিক ভাবে টিবাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভারতে পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী। বাংলাদেশের পক্ষে টিকা গ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম, স্বাস্থ অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের এই বন্ধত্বপূর্ণ সহযোগীতার জন্য দেশটির জনগন ও সরকারকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক চুক্তি অনুযায়ী এ মাসের শেষে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা। সে অনুযায়ী টিকা আসবে। ফ্লাইট শিডিউল হাতে পেলে জানিয়ে দেয়া হবে কবে টিকা পাচ্ছি। এখনও ফ্লাইট শিডিউল পাইনি। এরপর প্রতিমাসে ৫০ লাখ করে টিকা আসার কথা রয়েছে। টিকা আসার একটি শিডিউল আছে। যদি এদিক সেদিক হয় তবে যখন আমরা জানবো তখন জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
কবে থেকে টিকাদান শুরু হবে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, আমরা টিকা গ্রহণ করেছি। এ নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি। পরিকল্পনা শতভাগ তৈরি হয়ে গেছে তা কিন্তু নয়। আগামী ছয়-সাত দিনের মধ্যে টিকার একটি ট্রায়াল রান করার চিন্তাভাবনা আছে। সেই তারিখটি আপনাদের পরিবর্তীতে জানো হবে। কারণ তারিখ চ‚ড়ান্ত হয়নি। চ‚ড়ান্ত দিনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। ভিডিও কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে টিকার ট্রায়ালে যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনও গুজব না ছড়ানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, টিকা মানুষের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। যারা মানুষের জীবন নিয়ে ষড়যন্ত্র, রাজনীতি করে তারা সঠিক লোক নয়। আমরা করোনা মোকাবিলায় আছি, জীবন রক্ষায় আছি। এই মোকাবিলায় টিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এজন্য কেউ যাতে জাতিকে বিভ্রান্ত না করে সেজন্য আহবান জানাচ্ছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ভারত থেকে টিকা বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমান ঢাকায় এসে পৌঁছায়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সরকারি পরিচালক ডা. রওশন জাহান আক্তার আলো জানান, সর্বমোট ১৬৭ কার্টন টিকা এসেছে। যেখানে ২০ লাখ চার হাজার ডোজ ভ্যাকসিন আছে। প্রতি বক্সে আছে ১২০০ ভায়াল ভ্যাকসিন। প্রতি ভায়ালে ১০ ডোজ টিকা রয়েছে। টিকাগুলো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ফ্রিজারভ্যানে করে রাজধানীর তেজগাওয়ের ইপিআই সংরক্ষণগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান বলেন, তেজগাঁওয়ের ইপিআইয়ের সংরক্ষণাগারে টিকা সংরক্ষণ করা হবে। আমাদের ৫০ লাখ ভ্যাকসিন রাখার সক্ষমতা আছে। ইতোমধ্যে দুটি ফ্রিজার খালি করা হয়েছে। প্রতিটি ফ্রিজারে ২০ লাখ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। টিকার নিরাপত্তা রক্ষায় ইপিআই সংরক্ষণাগার ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। ভ্যাকসিন ইপিআই সেন্টারে সংরক্ষণের সময় উপস্থিত ছিলেন ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাওলা বক্স, স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম, তেজগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।