প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : যে সমস্ত কাগজ হেফাজতে রাখা সম্ভব নয়, সেগুলোতে কোরআনের আয়াত বা আরবী ভাষায় বিসমিল্লাহ শরীফ না লেখা উচিত। কারণ, এগুলোর হেফাজত কেউ করে না, সম্ভবও নয়। একটা স্লিপ, টিকেট বা ক্যাশ মেমো মানুষ বেশিক্ষণ রাখে না, এসব ক্ষেত্রে বিমসিল্লাহ মুখে বলে নেওয়া যথেষ্ট। আর যদি কেউ বংলা অক্ষরে লিখে ফেলে তাহলে, এটা যদি ছিড়ে যায় বা টুকরা হয়ে যায় তখন এটাকে হেফাজত না করলেও চলে, কিন্তু যদি বাংলাতেও পুরো ‘বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম’ লেখা কোনো কাগজ থেকে যায়, তাহলে তো একই কথা। কারণ সেখানে আল্লাহর নাম বা তার গুণবাচক নাম থাকে, তা পদদলিত করা কোনো মানুষরই উচিত নয় বরং পীড়াদায়ক। তাই হেফাজত করতে পারবে জানলেই লেখা উচিত। তবে এক্ষেত্রে একটা ব্যবস্থা আমাদের দেশে আছে যে, ‘বিসমিহী তায়ালা’ লেখা। যার অর্থ, তার নামে শুরু। এখানে আল্লাহ শব্দটা থাকে না, আর রহমান, আর রাহীমও থাকে না। কিন্তু মনের মধ্যে এটা থাকে যে, তার বলতে আল্লাহ তায়ালা। তাই অনেক সময় বিসমিল্লাহ লিখতে হয়, এমন জায়গায় উলামায়ে কেরাম ‘বিসমিহী তায়ালা’ লিখতে বলে থাকেন। তবে, না লিখে মুখে বলে নেওয়াই উত্তম।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।