পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ভ্যাট আইন ২০১৬ বাস্তবায়নে এনবিআর কর্মকর্তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলামটর এলাকার সিরামিকস ও স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। রোববার (১৭ জানুয়ারি) দোকান বন্ধ রেখে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় প্যাকেজ ভ্যাট বাস্তবায়ন, ব্যবসার ধরণ ও দোকানের আকারের ভিত্তিতে এ খাতে ভ্যাটের হার নির্ধারণের দাবি জানান টাইলস ডিলার অ্যান্ড ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাাদক গোলাম রসুল বেলাল।
তিনি জানান, তাদের দাবি বাস্তবায়িত হলে সরকারের রাজস্ব ৫০০ কোটি টাকা বাড়বে। উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করলে সবার জন্য সমতা হবে। এখন কেউ ভ্যাট দিচ্ছে, দিতে বাধ্য করা হচ্ছে আবার অনেকেই ফাঁকি দিচ্ছেন। এছাড়া তাদের প্রস্তাবিত দাবি বাস্তবায়ন হলে মাঠ পর্যায়ে এনবিআরের অসাধু কর্মকর্তাদের দৌরাত্ম্য, হয়রানি বন্ধ হবে বলেও মনে করেন তিনি।
পদশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণখাতে টাইলস, বেসিনসহ বিভিন্ন স্যানিটারি পণ্যের ব্যবহার বেড়েছে। আমদানির পাশাপাশি স্থানীয় বড় বড় কারখানাও বাজারজাত করছে এসব পণ্য। দেশে টাইলসের বাজার প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে বলে জানায় এ খাতের সংগঠন টাইলস ডিলার অ্যান্ড ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির তথ্য বলছে, বাজারে ৫০-৮০ টাকা বর্গফুটের টাইলসের চাহিদাই বেশি।
কিন্তু করোনা মহামারিতে আরও ৫ শতাংশ ভ্যাটের চাপে বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বাংলামটরের নাসির ট্রেড সেন্টারের নিচ তলায় টাইলস বাজারে কথা হয় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। আমদানি করা টাইলসের এ বিক্রেতা জানান, ২০১৬ সালের ভ্যাট আইন করার পর এনবিআর কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়। তখন দোকানের আকারের ওপর ভিত্তি করে প্যাকেজ বার্ষিক প্যাকেজ ভ্যাট বহাল রাখা হয়।
কিন্তু বর্তমানে দোকানে দোকানে ভ্যাটের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে নথিপত্র নিয়ে যাচ্ছেন। এখন ক্রেতারাও এ এলাকায় তেমন একটা আসেন না বাড়তি ভ্যাটের জন্য। কারণ আমার দোকানে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়, রাজধানীসহ দেশের অন্য অনেক এলাকায় সব দোকানদাররা এ ভ্যাট দেন না। ফলে ক্রেতারা কম দামে পাচ্ছেন স্যানিটারি পণ্য। সব খরচ মিটিয়ে এখন টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
টাইলস ব্যবসায়ী কুদরত এলাহি জানান, বর্তমানে করোনা মহামারির কারণে চীন থেকে টাইলস আনতে জাহাজের পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে। ৪০ ফুটের কনটেইনারের ভাড়া আগে ছিল ১ হাজার থেকে ১১শ’ ডলার যা এখন সাড়ে তিন থেকে চার হাজার ডলার হয়েছে। এছাড়া চীনা মুদ্রার দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রয়মূল্যও বেড়েছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী। কিন্তু মন্দা বাজারে ক্রেতাদের কাছে পণ্যের দাম বাড়াতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।