Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সার্ক অঞ্চলে শান্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে একত্রে কাজ করুন-অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান

প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : দক্ষিণ-এশীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে শান্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য একত্রে কাজ করতে সার্কের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতি আহবান জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। গতকাল পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ৮ম সার্ক অর্থমন্ত্রীদের এক বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা হিসেবে দেয়া বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দিনব্যাপী এ বৈঠকের উদ্বোধন করেন। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী সিনেটর ইসহাক দার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। গতকাল ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে যোগদানকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (সার্ক) তারেক আহমেদ, বাংলাদেশের হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মো: নাজমুল হুদা, অর্থ প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো: আবুল কালাম ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফওজিয়া রহমান। এর আগে, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও বৈঠকে যোগদানকারী প্রতিনিধিদলের প্রধানগণ প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় যে, অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্ক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে তার ঐকান্তিক সহযোগিতা ও সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং একসাথে কাজ করবে। সার্কের সদস্য দেশগুলো বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যবর্তনে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব দেখিয়েছে এবং ভাল জিডিপি অর্জন অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে এখনো আর্থিক ভঙ্গুরতা বিদ্যমান, তাই এ সমস্যা নিরসনে আমাদের সকলকে রাজস্ব বৃদ্ধি ও আরো বেশী অর্থ উপার্জনের উপায় সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, সার্কের প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এখনো সাধিত হয়নি। এটি অনেকাংশেই নির্ভর করছে ‘সাফটা ’ এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত অন্যান্য চুক্তির কার্যকর বাস্তবায়নের উপর। তিনি বলেন, আঞ্চলিক সামঞ্জস্যতার স্বার্থে আমাদের প্রয়োজন ‘সাফটা’র অধীন বাণিজ্যকে আরও উদার করা, আঞ্চলিক সংযোগ চুক্তি যেন দ্রুত স্বাক্ষরিত হয় তা নিশ্চিত করা এবং শুল্ক প্রক্রিয়া ও দলিল উপস্থাপনে সমন্বয় সাধন করা। আমাদের সকলের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দক্ষিণ এশীয় জনগণের কল্যাণে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, সামাজিক অগ্রগতি ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য সার্ক গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ যতাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া।
প্রতিমন্ত্রী সার্ক এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ইন সার্ভিস (সাটিস) এর আওতায় ‘সার্ক এগ্রিমেন্ট অন প্রমোশন এন্ড প্রোটেশশন অব ইনভেস্টমেন্ট’ এর খসড়া এবং ‘সার্ক এগ্রিমেন্ট অন এভয়েড্যান্স অব ডবল ট্যাক্সেসন এন্ড মিউচুয়াল এডমিনিস্ট্রেটিভ সিসট্যান্স ইন ট্যাক্স ম্যাটার’ এর খসড়া দ্রুত চূড়ান্ত করনের জন্য দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রসমূহের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক ও অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৬.৪ রয়েছে। বর্তমান অর্থ বছরে এই প্রবৃদ্ধির হার গত বছরের ৬.৫৫ থেকে বেড়ে ৭.০৫ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থনীতির অন্যান্য সূচকও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইতিবাচক ধারাতে রয়েছে। গত জুলাই ২০১৬ তে ১২ মাসের গড় মুদ্রাস্ফীতি কমে ৫.৮৪ শতাংশ হয়েছে - পূর্ববর্তী অর্থ বছরে একই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬.৩৫। জাতীয় বাজেট ঘাটতি জিডিপি প্রবৃদ্ধির মাত্র ৪ শতাংশের কাছাকাছি অবস্থান করছে। রফতানী প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৬.৭ শতাংশে। রেমিটেন্স আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, গত ০৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট বৈদেমিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে - যা দিয়ে আগামী ৭ মাসের আমদানী ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ