প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : এটি যারা প্রদান করবেন তাদের ধর্মীয় জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে। তারা যদি ধর্মীয় জ্ঞানে শিক্ষিত বা জ্ঞানী লোক হন, তাহলে তারা বাচ্চাকে দেবেন না। বাচ্চা উপলক্ষে তার অভিভাবককে দেবেন, যেন বাচ্চার যে কোনো প্রয়োজনে বা অভিভাবকের প্রয়োজনে তারা ব্যয় করতে পারেন এই নিয়তে। যদি এমনভাবে দেওয়া হয় যে, এটা এই পরিবারকে দেওয়া হলো বা বাচ্চার গার্জিয়ান অথবা তার পিতামাতাকে দেওয়া হলো বাচ্চার স্বার্থে, তখন এটি অন্যান্য জায়গায় যেমন বিল পে বা তার পিতামাতা অন্য কাজেও খরচ করতে পারবেন। আর যদি কেউ নির্দিষ্টভাবে বাচ্চাকেই দিয়ে থাকে, তাহলে এই টাকা বাচ্চার অভিভাবক হিসাবে তার বাবা মা অন্য কেউ খরচ করতে পারবেন না। বাচ্চা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর এই টাকা বাচ্চা তার ইচ্ছায় কোথাও ব্যয় করবে। এর আগ পর্যন্ত পিতামাতাকে সেই টাকা সংরক্ষণ করতে হবে। অতএব, কোনো শিশুকে কোনো কিছু দেওয়ার ক্ষেত্রে যারা দীনি জ্ঞান রাখেন, তারা এভাবেই দেন যে, এটি তাকেই দিলাম। কিন্তু মনে মনে নিয়ত করেন যে, পিতামাতাকে দিলাম। যাতে এই টাকা খরচ করার অধিকার উনাদের থাকে। এটি শুধু গিফটদাতাদের ক্ষেত্রে নয়, পিতামতারও উচিত বাচ্চাকে কোনোকিছু দিলে ব্যবহার করার জন্য দেওয়া, মালিকানা নিজের কাছে রাখা। তাহলে এটি দানও করতে পারবে, বিক্রি করতে পারবে, অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারবে অথবা আবার ছোট বাচ্চাকে এটি দিতে পারবে। আর যদি বাচ্চাকে এটি দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এটি বাচ্চা ছাড়া আর কেউ কিছুই করতে পারবে না। বাচ্চা সাবালক হওয়ার আগে, তার কাছ থেকে বলেও কেউ এর মালিকানা হস্তান্তর করতে পারবে না। কাজেই এভাবে না দিয়ে, মালিকানা নিজের কাছে রেখে জিনিষটি বাচ্চাকে দেওয়া উচিত।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।