পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড়ে অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনা জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে দারুস সালাম থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম শামীম আহম্মেদ বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে মডেল আশা চৌধুরীকে বহনকারী মোটরবাইকের চালক শামীম আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন তার পরিবার। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
সুত্র জানায়, অভিনেত্রী আশাকে বহনকারী মোটরবাইকের চালক শামীম আহমেদ আশার নিয়ে বাসায় ফেরার পথে আড়াই ঘণ্টার গড়মিল থাকায় তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। আর এজন্যই তাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মডেল আশা মৃত্যুর আগে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকা থেকে বাসায় ফেরার কথা প্রথমে তার পরিবারকে জানান। এরপর বনানী এলাকা থেকে বাসার দিকে রওনা হয়েছিলেন বলে ৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে আশা তার মাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিলেন। তিনি তার মাকে আরো বলেছিলেন, বনানী থেকে বাসায় আসতে ১১টা বাজতে পারে। বনানী থেকে কালশী রোড হয়ে আশাদের মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সে বাসায় আসতে দেরী হলেও তারা আর কোন ফোন করেননি।
এরপর রাত প্রায় দুইটার দিকে আশাকে বহন করা মোটরবাইকের চালক শামীম আহমেদ আশার মাকে ফোন দেন। তিনি দিয়ে টেকনিক্যাল মোড়ে যেতে বলেন। এরপর শামীম ফোন কেটে দিয়ে কিছুক্ষণ পর পুনরায় ফোন দিয়ে বলেন, আন্টি আশা আর নেই, মারা গেছে। এতথ্য জানানোর সময় কথা বলতে বলতেই আশার বাবা আবু কালাম কেঁদে ফেলেন। এরপর ফোনটি তার শ্যালক মো. দুলাল হোসেন ধরিয়ে দেন।
দারুস সালাম থানা সুত্র জানায়, মামলা দায়েরের সময় আশার বাবার সঙ্গে তার মামা দুলাল ছিরেন। তিনি বলেছেন, মোটরবাইকেল চালক শামীম আহমেদ থানায় পুলিশের সামনে তিন রকম কথা বলেছেন। তাদে বাসায় ফেরার কথা ছিল কালশী রোড হয়ে কিন্তু টেকনিক্যাল মোড়ে তিনি কীভাবে গেলেন? আর এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে না পরায় তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, অভিনেত্রী আশাকে বহনকারী মোটরবাইক চালক শামীম জানিয়েছেন, তিনি পথ ভুলে টেকনিক্যাল মোড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আশার মামা দুলাল বলেছেন, তার ভাগনি আশার ঢাকার প্রায় সব রাস্তাই চেনা, তাই সে রাস্তা ভুলে আসতে পারেন না। বাইকচালক শামীম পুলিশের সামনে পুনরায় বলেছেন, আশা রোড পার হতে গিয়ে গাড়ী চাপায় মারা গেছেন।কিন্তু সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, মোটরবাইকে থাকা অবস্থায় ট্রাকের ধাক্কায় আশা রাস্তায় পড়ে যান।এসময় তার মাথার ওপর দিয়ে ট্রাকের চাকা চলে যায়।
আশার মামা দুলাল সাংবাদিকদের বলেছেন,আমাদের সন্দেহ শামীমই পরিকল্পিতভাবে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়েছিল আশা। আর যদি আশা সুস্থ থাকতো তাহলে সে মোটরবাইচালক শামীমকে ধরে বসত। শুধু তাই নয়, গাড়ি চাপায় আশা রাস্তায় ছিটকে পড়ার পরও আশাকে একবারও ধরতে যায়নি। আর শামীম আড়াই ঘণ্টা কীভাবে কোন কোন রাস্তায় ঘুরেছেন, তা সঠিকভাবে বলতে না পারায় তাকে সন্দেহ করে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে দারুস সালাম থানা মামলাটি করা হয়।
মামলায় অভিযুক্ত শামীম আহমেদ অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে ৬ থেকে ৭ বছরের পরিচিত। অভিনেত্রীর পরিবার শামীমকেসহ সড়ক আইনের ১০৫ ধারায় অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করেছে।
জানা গেছে, অভিনেত্রী আশা চৌধুরী চার বোনের মধ্যে সবার বড়। তিনি রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজিতে (বিইউবিটি) আইন বিভাগে সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত প্রায় চার বছর আগে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। নাটকে অভিনয়, অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ছাড়াও তিনি বিজ্ঞাপন ও গানের মডেল হয়েছেন।
এ ব্যাপারে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহম্মেদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি শামীম আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।