পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগ আমাদের দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন- যেকোনো আন্দোলনই যদি আমরা দেখি সব থেকে বেশি রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অন্য কোনো দলে এটা খুব বেশি পাওয়া যাবে না, আমাদের ছাত্রলীগে সব থেকে বেশি।
গতকাল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় বসলো। তার আগে সে মদদ দিয়েছিলেন খন্দকার মোশতাককে। পরে মোশতাককে হটিয়ে নিজে প্রেসিডেন্ট হলেন। এরপর তার যে কাজ ছিল, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম, অত্যাচার করা। একদিকে তাদের প্রলোভন দিয়ে দলে টানার চেষ্টা আর সেটা না হলে তাদের গুম, খুন-হত্যা করা।
শেখ হাসিনা বক্তব্যের শুরুতে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ অসহযোগ আন্দোলন করে। অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে আমরা বিজয় অর্জন করি। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তারা তো সক্রিয় ছিল। দেশীয় এবং বিদেশি এজেন্টরা সবসময় সক্রিয় ছিল। তিনি সাড়ে তিন বছর হাতে যে সময় পেয়েছিলেন এ সময়ে একটা স্বাধীন দেশকে গড়ে তোলার সব কাজের ভিত্তিটাই তিনি তৈরি করে দিয়ে যান।
তিনি বলেন, নানা চক্রান্ত মোকাবেলা করে আমরা বাংলাদেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা করোনার সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগ বিভিন্ন কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কৃষকের ধান কেটেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এথেকে প্রমাণ হয় ছাত্রলীগ কোন কাজকে ছোট করে দেখেনি। উপরের দিকে তাকিয়ে চলতে হলে হোঁচট খেতে হয়। আমি ছাত্রলীগের হাতে খাতা কলম তুলে দিয়েছিলাম। আর জিয়াউর রহমান ছাত্রদলকে অস্ত্র তুলে দিয়ে বিপথে ঠেলে দিয়েছিল।
তিনি শিক্ষাকার্যক্রমের নানা দিক তুলে ধরে বলেন, করোনা ভাইরাস একটা শিক্ষা দিয়ে গেছে। ধন সম্পদ কাজে লাগে না। শিক্ষা থাকলে কখনো হোঁচট খাবে না। শিক্ষাছাড়া দেশ এগুতে পারেনা। এগুলা মাথায় নিয়ে ছাত্রলীগকে চলতে হবে। তিনি বলেন, নানা চক্রান্ত মোকাবেলা করে আমরা বাংলাদেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা করোনার সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগ বিভিন্ন কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কৃষকের ধান কেটেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এথেকে প্রমাণ হয় ছাত্রলীগ কোন কাজকে ছোট করে দেখেনি। উপরের দিকে তাকিয়ে চলতে হলে হোঁচট খেতে হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সঞ্চালনা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাসহ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী হিসেবে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির হাজারো নেতাকর্মী। সকাল সাড়ে সাতটায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ও দেশব্যাপী সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সংগঠনটি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে কেক কাটা, টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিনিধি টিম কর্তৃক শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।