পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কমিশনার ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তাকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তার কাছে কোনও অস্ত্র ও মাদক ছিল না। তার সহযোগী জাহিদের কাছ থেকে এই অস্ত্র ও মাদক পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগ পুলিশ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কুুদরত-ই খুদা বলেন, ইরফান সেলিমের দুই মামলার ফাইনাল প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অস্ত্র ও মাদক মামলা ছিল তা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অভিযানে পাওয়া অস্ত্র ও মাদক কি হলো জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, অস্ত্র ও মাদক তার সহযোগীর কাছে পাওয়া গেছে। তার কাছে পাওয়া যায়নি। এখন সেগুলো মালখানায় আছে। পরবর্তীতে আদালতে জমা দেওয়া হবে। ডিএমপির চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া এই দুটি মামলারই বাদী ছিল র্যাব। মামলার দুই মাসের মাথায় এ প্রতিবেদন দেওয়া হলো।
ইরফানের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইরফানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের মামলার তদন্ত করেছে লালবাগ থানা পুলিশ। আমরা তদন্ত করে যা পেয়েছি, তা রিপোর্টে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‹সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। পরদিন এ ঘটনায় ইরফানসহ আরও চারজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা। ২৬ অক্টোবর পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাসায় দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। ইরফানকে দেড় বছর ও তার দেহরক্ষীকে এক বছরের কারাদন্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত ২৭ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দু’টি করে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে র্যাব। এসব মামলায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।