Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে দেশে বর্ষবরণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০২ এএম

করোনায় কঠোর কড়াকড়ির মধ্যে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে অপেক্ষায় আছে গোটা পৃথিবী। তবে সময়ের কাঁটায় এগিয়ে থাকা কয়েকটি দেশ ও অঞ্চল আগেই ঢুকে গেছে নতুন ক্যালেন্ডারে। প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু দ্বীপপুঞ্জ, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়ার কিছু এলাকা এবং নিউজিল্যান্ডের মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। 

যেখানে দেশে দেশে কয়েক লাখ থেকে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ করোনায় মারা গেছে, সেখানে নিউজিল্যান্ডে মৃত্যু সংখ্যা মাত্র ২৫ জন। মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে রেখে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত দেশটি অনেকটা নিরাপদেই নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছেন। সংক্রমণ ঠেকাতে এখনো কিছু কড়াকড়ি আরোপ থাকলেও সেদিকে খেয়াল নেই মানুষের। ঠিকই নতুন বছরের আগমনে রাস্তায় নেমে উল্লাস করেছে তারা।
অকল্যান্ড শহরের রাস্তাগুলোতে মানুষের ভিড় লেগে গেছে। আনন্দ-চিৎকার-উল্লাসে ফেটে পড়েছে তারা। চারদিকে আতশবাজির আলো ও শব্দ। জানা যায়, বিশ্বের কোনও বড় শহর হিসেবে সবার আগে আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন ইংরেজি বছর ২০২১ সালকে স্বাগত জানিয়েছে নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ড। স্থানীয় সময় মধ্যরাতে ঘড়ির কাটা ১২ টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতেও দেশটিতে ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানানোর আয়োজন ছিল স্বাভাবিক সময়ের মতোই। তবে সবার আগে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসগারীয় দ্বীপপুঞ্জ সামোয়া। এখবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর।
আন্তর্জাতিক মান সময়ের তারতম্যের কারণে নতুন বছরকে আগে বরণ করার সুযোগ পায় এমন দেশগুলোর একটি নিউ জিল্যান্ড। নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানানোর উৎসবে মেতে ওঠার ক্ষেত্রে বড় শহরগুলোর মধ্যে অকল্যান্ডের সুযোগ আসে সবার আগে। তবে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে নববর্ষ শুরু হয় সামোয়াতে। দেশটি নিউ জিল্যান্ডের কাছাকাছি অবস্থিত। এক ঘণ্টা আগে সেখানে নতুন বছরের আগমন হয়। সামেয়া সরকার ফেসবুকে একটি বার্তায় দেশটির ও বিশ্ব নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে নতুন বছরের। একই সঙ্গে আতশবাজির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
নতুন বছরকে বরণ করতে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলের ১ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতার স্কাই টাওয়ারে ঝুলন্ত একটি বিশাল ঘড়ির সময় দেখে রাত ১২টা বাজার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে সেখানে জড়ো হওয়া মানুষ। শুরু হয় কাউন্টডাউন। আর ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে দেখা যায় আতশবাজির বর্ণিল ছটা।
অস্ট্রেলিয়াও মহামারির সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেয়েছে বলা চলে। এখনো মৃতের সংখ্যা হাজারও হয়নি। ফলে সিডনি ও মেলবোর্নে স্বাভাবিক ব্যস্ততা দেখা গেছে নতুন বছরের বরণকে ঘিরে। সিডনির বিখ্যাত হারবার ব্রিজের আতশবাজি উৎসব ছিল আগের মতো দর্শনীয় ও নান্দনিক।
উল্লেখ্য, পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় ধীরে ধীরে ২০২০ সালকে বিদায় এবং ২০২১ সালকে বরণ করে নেবে পুরো বিশ্ব। প্রশান্ত মহাসাগরের দেশগুলো থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ এবং সর্বশেষ আমেরিকার দেশগুলো নতুন বছরকে বরণ করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ