পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি অনুক‚লে না এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। তবে অনলাইনে শিক্ষাদান কার্যক্রম চলবে। গতকাল বই বিতরণ উৎসব উদ্বোধনের সময় তিনি এই কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই উৎসবের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী সময়মতো বই বিতরণের ব্যবস্থা করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমাদের পাঠ কার্যক্রম যেন ঠিকমতো চলে, সেজন্য আমরা করোনার মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। তারা যেন নতুন বইটা পায়, নতুন বইয়ে নিজের নামটা লিখতে পারে, নতুন বইয়ের মলাট ওল্টানোর আনন্দটা পায়, সেই চেষ্টা আমরা করেছি।
করোনার কারণে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, স্কুল খোলা সম্ভব না হলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান চলবে। ভর্তির ব্যবস্থাটাও অনলাইনে চলবে। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বিশ্ব কবে মুক্তি পাবে সেটাই বিষয়। জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা স্কুল বন্ধ রেখেছি। অবস্থার উন্নতি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে, আর না হলে ছুটি আরো বাড়ানো হবে। করোনাকালে যে মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা কীভাবে দূর করা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্লাস না হলেও পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এইচএসসির ফলাফলের পরেই গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
তিনি বাবা-মায়েদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ছেলেমেয়েদের সময় দেবেন। তারা যেন খেলাধুলা করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করবেন। তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটা খেয়াল রাখবেন। তিনি সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানান। তবে শুধু ঘরে বসে না থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সবাইকে খোলা ও আলো-বাতাসপূর্ণ জায়গায় বের হওয়ার পরামর্শ দেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এছাড়া, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।