পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,বিএনপি আবারও গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ তা প্রতিরোধ করবে। একইসাথে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যেকোন অপতৎপরতা কঠোরভাবে প্রতিহত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। গতকাল বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে বিজয়ের মাস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন আজকে ৩০ডিসেম্বর। ২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি। সেদিন ষড়যন্ত্র ছিল নির্বাচনকে বানচাল করা। এজন্য বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না এই নিয়ে তারা খোলসা করে শুরু থেকেই কিছু বলেনি। পরবর্তীতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং একইসাথে হাঙ্গামা বাঁধিয়ে নির্বাচনকে ভন্ডুল করা। এটিই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেটি করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয়কেতন উঠেছে ৩০ ডিসেম্বর। সেজন্য আজকে গণতন্ত্র বিজয় দিবস। আর বিএনপি যেহেতু সেদিন নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে চেয়েছিল কিন্তু করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেজন্য তারা দিবসটিকে ভিন্নভাবে পালন করছে।
ড. হাছান বলেন, প্রকৃতপক্ষে তারা সেদিন গণতন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে চেয়েছিল। সেজন্যই তারা আজকে ভিন্ন নাম দিয়ে দিবসটি পালন করছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সারাদেশে তারা আজকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে তারা হাঙ্গামা বাঁধিয়েছে। অর্থাৎ তারা আবার দেশে একটি গন্ডগোল পাকাতে চায়। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের কথা ভুলে যান। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদেরকে আর কোনভাবেই সেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার সুযোগ দেবে না। তখন আপনারা জনগণের ওপর যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন, হাঙ্গামা বাঁধিয়েছিলেন, আবার সেই অপচেষ্টা করলে জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য যেকোন দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড কঠোরহস্তে প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর। দেশবিরোধী, প্রগতিবিরোধী এবং মৌলবাদী অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে, তাদের হিংস্র থাবা বিস্তাররোধ করতে সারাদেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি করতে হবে।
ড. হাছান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উর্ধে তুলে ধরার জন্য জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক সংগীত ও শিল্পকলা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। আপনাদের সংগঠনকে জেলা পর্যায়ে এই কাজের নির্দেশনা দিন, দেখাদেখি অন্যরাও এগিয়ে আসবে।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে ইঞ্জিনিয়ার কবীর হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার শামসুর রহমান সভায় বক্তব্য রাখেন।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।