পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে চলতি বছর খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা যেহেতু ভালো আছি, তাই আশা করি আমাদের আগামী বছর ভালো যাবে। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ৩৭তম মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, করোনার কারণে চলতি বছর খুব চ্যালেঞ্জিং ছিলো, তারপরও আমরা খুব ভালো করেছি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায়। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার প্রত্যাশার বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, আমি সবসময় ভালোটাই প্রত্যাশা করি। সবাই ভালোভাবেই জানেন ২০২০ সালে সারাবিশ্ব বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ প্রকিউরমেন্ট করেছে সারাবিশ্বের অর্থনীতি গত বছরের তুলনায় চার ভাগ কমে গেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখনও আমাদের করোনা শেষ হয়নি। করোনা শুরু হওয়ার পর আমরা যেভাবে মোকাবিলা করেছি এবং মোটামুটিভাবে তুলনামূলক আমরা একটা অবস্থানে আছি। আমরা একইভাবে চিন্তা করব আমাদের অর্থনীতিটা আগামী বছরও ভালো যাবে। আমাদের সর্বক্ষেত্রে অগ্রগতি হচ্ছে। পৃথিবীর যেকোনো দেশে দেখবেন তাদের সার্বিকভাবে নি¤œগতি। আমরা যেহেতু ভালো আছি, আশা করি আমাদের আগামী বছর ভালো যাবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ১ দিন পরই নতুন বছর, সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের প্রত্যাশাগুলো আল্লাহ তা’আলা পূরণ করবেন এবং আমাদের জীবন আরও সাবলীলভাবে অগ্রসরমান হবে সেটাই আমার প্রত্যাশা। এদিকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, বৈঠকে আট প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের দুটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া টেবিলে চাল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবের অুনমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, টেবিলে উত্থাপিত ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ১৬৮ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা হচ্ছে ভারতের বীরভ‚মের এমএসপিকে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি টন চালের দাম ৩৯৭ দশমিক ৭১ মার্কিন ডলার। আর প্রতি কেজি চালের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ভ্যাট ছাড়া ৩৩ দশমিক ৭২ টাকা।
এর আগে গত ৩ ও ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরে জন্য ৫০ হাজার করে এক লাখ টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তখন প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছিল ৩৪ টাকা ২৮ পয়সা এবং ৩৫ টাকা ২৭ পয়সা। আর প্রতি টনে ক্রয়মূল্য যথাক্রমে ৪০৪ দশমিক ৩৫ ও ৪১৬ মার্কিন ডলার। এছাড়া সুপারিশকৃত দরদাতা হচ্ছে ভারতের মুম্বাইয়ে এম এস রিকা গেøাবাল ইমপ্যাক্টস লিমিটেড ও পশ্চিমবঙ্গের বীরভ‚মের এমএসপিকে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।