পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার সমালোচনার সংষ্কৃতিকে পছন্দ করে। গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসা করাও প্রয়োজন। তা না হলে রাষ্ট্র ও সমাজ পিছিয়ে পড়বে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সঠিকভাবে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে গণমাধ্যম। এটি রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ভ। রাষ্ট্রের কোনো একটা স্তম্ভ ঠিকমতো কাজ না করলে এর ভিত নষ্ট হয়ে যায়। সেটি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং এর সাথে যারা যুক্ত আছেন তারা যাতে স্বাধীনভাবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেন সেজন্য কাজ করছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলেও সাংবাদিকরা কাজ করে গেছেন। পৃথিবীতে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হলে একটি মহল ওত পেতে থাকে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য। করোনাকালে বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এর বিপরীতে দেশের মূলধারার গণমাধ্যম বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার কারণে এসব সুবিধাবাদীরা তেমন বেশি সুবিধা করতে পারে নি। এ জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থায় বসবাস করি। আমাদের দেশে যেভাবে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে, সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে অন্য কোনোখানে সেভাবে করা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনা করার সংস্কৃতিকে পছন্দ করেন। দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা সহ্য করতে হবে। বিএনপির ফখরুল সাহেব সকালে সরকারের সমালোচনা কড়া ভাষায় করেন। আর বিকেলে রিজভী সাহেব কথা বলেন আর প্রেস ক্লাবে গয়েশ^র বাবুরা কোনো অনুষ্ঠানে সমালোচনা করে বলেন তাদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। ভালো কাজের প্রশংসা হলে মানুষ ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হবেন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেকারণে সকলের প্রতি অনুরোধ করবো সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজেরও প্রশংসা করবেন। না হলে রাষ্ট্র-সমাজ পিছিয়ে পড়বে।
করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে পুরো বিশে^র কাছে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালে পজেটিভ জিডিপি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে ২২টি দেশ। তার মধ্যে আমাদের অবস্থান ওপরের দিকে। আশাহীন জাতি সামনের দিকে এগোতে পারে না। রাজনীতিক-সাংবাদিকদের দায়িত্ব ভালো কাজ জানানো। খারাপ সংবাদ প্রচারিত হবে, পাশাপাশি ভালো সংবাদ জানানোর মাধ্যমে আশাও তৈরি করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার এবং এতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান ও কলিম সারওয়ার, বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব কর্তৃক ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ’ উপলক্ষে প্রকাশিত বার্ষিকীর বিশেষ সংখ্যা ‘তথ্য সত্য-ভাষ্য’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও উপস্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।