Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মধ্য পৌষেও হাড় কাঁপানো শীত নেই

মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর বায়ুদূষণে বিশ্বে ঢাকা শীর্ষে

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

পৌষ মাসের মধ্যভাগ। তবে হাড় কাঁপানো ‘স্বাভাবিক’ শীতের দাপট এখনো নেই। দেশের অধিকাংশ স্থানে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। কিন্তু অসহনীয় শীতের তীব্রতা নেই। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগর থেকে আসা মেঘমালা ও বাতাসে জলীয়বাষ্পের প্রভাবে পৌষের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি রয়েছে। কেননা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল হাওয়ার বেগ ঠেকিয়ে দিচ্ছে দক্ষিণের উষ্ণ বাতাস। তাছাড়া কুয়াশার বিস্তার ও ঘনত্ব কিছুটা কম এবং সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমের চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এদিকে পৌষের শুষ্ক আবহাওয়ার সাথে বিক্ষিপ্ত ও হালকা নিচু মেঘ, অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প ও কুয়াশার সঙ্গে বাতাসে ভাসমান ধুলোবালি ও ধোঁয়া মিশে বায়ুদূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর, হাঁপানি-শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস ও টনসিলের সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের কষ্ট-দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় আইকিউএয়ারের পর্যবেক্ষণে ঢাকার বায়ুমান সূচক (একিউআই) ও বায়ুদূষণ মাত্রা (পিএম ২.৫) ৩২২। যার অর্থ দাঁড়ায় ‘দুর্যোগময় পর্যায়ের বায়ুদূষণ’ বিশ্বে সর্বাধিক বায়ু দূষিত প্রধান নগরসমূহের তালিকায় ঢাকা শহরের অবস্থান শীর্ষে রয়েছে। আকুওয়েদারের পর্যবেক্ষণ মতে, চট্টগ্রামের বায়ুমান সূচক ও দূষণমাত্রা ২৩৮। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর।
এ মুহূর্তে দেশের উত্তর, পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও সিলেট বিভাগের আংশিক এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। আজ দেশের অনেক এলাকায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেয়ে বাড়তে পারে শীতের কামড়। তবে তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা এ মুহূর্তে নেই। মেঘ কেটে গেলে আসছে বছরের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে ক্রমেই বেড়ে যেতে পারে শীতের তীব্রতা। বর্তমানে দিনের বেলায় সূর্যালোক বেশিক্ষণ থাকায় রোদের তেজ যথেষ্ট বেশি রয়েছে, তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ২৫.৪ ও সর্বনিম্ন ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামে যথাক্রমে ২৫.৮ ও ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহের পর্যায়ে গতকাল তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৮, বদলগাছীতে ৮.২, তেঁতুলিয়া ও শ্রীমঙ্গলে ৮.৪, যশোরে ৮.৬, গোপালগঞ্জে ৯, ঈশ্বরদীতে ৯.২, বরিশালে ৯.৬, দিনাজপুরে ৯.৭, রাজারহাটে ৯.৮, সাতক্ষীরা, খেপুপাড়া ও ভোলায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রাম বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ ছিল না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ