Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সরকারের দেশ বিরোধী সিদ্ধান্ত -খালেদা জিয়া

প্রকল্প বাতিলের দাবি, জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহবান

প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৬:২৪ পিএম, ২৪ আগস্ট, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : সুন্দরবনে রামপালে কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সরকারের ‘দেশ বিরোধী ও গণ বিরোধী’ সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে অবিলম্বে এই প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে এই দাবির প্রতি সোচ্চার হতে দেশবাসীর প্রতি ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে আহবানও জানান তিনি।

আজ বুধবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন এই দাবি জানান।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন একটি দেশ বিরোধী ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। জনমত উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিরোধী এই সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর জবরদস্তিমূলকভাবে চাপিয়ে দিচ্ছে এই স্বৈরাচারী সরকার।

আমরা মনে করি বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প আছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জায়গারও অনেক বিকল্পও আছে। কিন্তু সুন্দরবনে কোনো বিকল্প নেই। কাজেই সুন্দরবনকে নিশ্চিত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়ার হঠকারী, অযৌক্তিক, অলাভজনক রামপালের সকল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। আমি এই দাবির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার জন্য ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

তবে রামপাল প্রকল্প বাতিলের কোনো কর্মসূচির দেননি।

গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। দেড় মাস আগে ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হওয়ার পর ৩ জুলাই সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।

ত্রিশ মিনিট স্থায়ী বক্তব্যে রাম পালের বিদ্যুৎ প্রকল্পের নানা ক্ষতিকারক দিক বিশেষ করে সুন্দরবনে জীব-বৈচিত্র্যের যে প্রভূত ক্ষতি হবে, তার একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণও উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়া। পুরো বক্তব্যে তিনি অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা না বলা কোনো প্রশ্নোত্তরও গ্রহণ করেননি।

গণমাধ্যমের কাছে আহবান রেখে খালেদা জিয়া বলেন, এই বিষয়টা আমাদের সকলের। এটা শুধু বিএনপি, আওয়ামী লীগ অথবা অন্য কারো বিষয় নয়, এটা সারা দেশের বিষয়। সেজন্য আজকে কোনো প্রশ্ন না করে রামপালের বিষয়টি আপনারা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরুন।এটা আমরা অনুরোধ।

সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর)মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করিম খান, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, মুসলিম লীগের জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএল‘র সাইফুদ্দিন মনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ