পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ৪২ নাগরিকের ‘গুরুতর অসদাচরণের’ অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন, অসত্য ও অনভিপ্রেত’ বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে- তাই বিষয়টি স্পষ্ট করতে এ সংবাদ সম্মেলন। ইসিকে দায়ী করে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা অনভিপ্রেত ও আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো প্রশ্ন নেননি সিইসি নূরুল হুদা। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে এর তদন্ত করতে প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করেছেন ৪২ জন নাগরিক। গত ১৪ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের কাছে এই চিঠি পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে।
৪২ জন নাগরিকের পক্ষে ওই চিঠিতে সাংবিধানিক এই সংস্থার (ইসি) বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের আবেদন জানানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা অভিযোগগুলোর বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, প্রশিক্ষণ ব্যয়ে আর্থিক অনিয়মের ‘কোনো সুযোগ নেই’। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যাবহারের অভিযোগও ‘অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতেই ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। ইভিএম ক্রয়ের সাথে সরাসরি নির্বাচন কমিশন যুক্ত নয়। সুতরাং বিবৃতিতে যা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য।
সিইসির দাবি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অসদাচরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য। ২০১৮ সালের নির্বাচন বিদেশি ক‚টনীতিকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তোলেননি। গণমাধ্যমও কোনো অভিযোগ করেনি। বরং অনিয়মের কারণে বহু স্থানীয় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। তার দাবি তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি পদে ২-৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোট পড়েছে ৬০ থেকে ৮০ ভাগ। নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা চলে গেছে এ খবর ভিত্তিহীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।