পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সরকার ভ্যাট দাতাদের যেকোন প্রকার হয়রানি বন্ধ করে অধিক সহজ পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায় করতে চায় বলেই এই অনলাইনে ভ্যাট নিতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে যাতে কোন প্রকারের হয়ারানির স্বীকার হতে না হয় সেদিকে আমরা নজর দিয়েছি। প্রয়োজনীয় কাগজ দিয়ে বাসায় বসেই যাতে ভ্যাটের কাজ শেষ করতে পারেন সেই জন্য অনলাইন ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে সানাই কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ আয়রণ এন্ড ষ্টীল ইম্পোটাস এসোসিয়েনের উদ্যোগে অনলাইনে ভ্যাট রিটান দাখিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আয়রণ এন্ড ষ্টীল ইম্পোটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুজর গিফারী জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের বিভিন্ন সমস্যা কাস্টমসের হয়রানি ও ভ্যাট নিয়ে দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আমির হোসেন নুরানী।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসির উল্লাহ, সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড কমিশনার মো. আবু সাঈদ, হাবিবুর রহমান হাবু, সহ সভাপতি মাহমুদ আলম, সংগঠনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন তালুকদার, ব্যারিষ্টার সামিউর রহমান, বিভাগীয় ভ্যাট কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, মোফাজ্জেল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পে পরিচালক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করে ভ্যাট অণলাইন কাযক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে তিনি অনলাইন ভ্যাটের বিভিন্ন সুবিধা তুলে ধরে বলেন, করোনাকালিন সময়ে বিশ্বেও অনেক দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাংলাদেশের এর খুব বেশি প্রভাব পড়েনি।
তিনি বলেন, এখন থেকে আর ব্যাংকে গিয়ে লম্বা সিরিয়ালে দাড়াতে হবে না। দেশের মোট ৮টি সরকারি বেসরকারি ব্যাংক, যেকোন ধরনের কার্ড বা মোবাইলের মাধ্যমেও টেজারি চালানের টাকা জমা দেয়া যাবে। ভ্যাটদাতাদের সম্মানি কার্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্তমানের এই ফরম আরো সহজ করা হচ্ছে। আপনাদের জন্যই এনবিআর। আপনারা ভ্যাট দিতে এগিয়ে আসেন আপনাদের সকল হয়রানি বন্ধে এনবিআর এগিয়ে আসবে। যখনই সমস্যাই পড়বেন আমরা তার সমাধান দিবো। ব্যবসায়িদের রেয়তের টাকা দ্রুত ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আবুজর গিফারী জুয়েল বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১৪৪ ধরনের মালের প্রয়োজন হয়, মাত্র দু একটি কোম্পানি যারা শুধুমাত্র ২/১ টিভি মালের রুপ পরিবর্তন করতে পারে, কোন মাল উৎপাদন করে না। তাদের সুবিধা দিতে গিয়ে বর্তমানে ইম্পোটারদের উপর অতিরিক্ত ৭ হাজার টাকা কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। যার কারণে আমরা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছি। এতে করে আগামী লৌহ সংকটে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সব বিষয় সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি। যাতে আগামীতে বর্ধিত ডিউটি কমিয়ে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।