পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক মাওলানা কবি রুহুল আমিন খান বলেছেন, উম্মাহর মাঝে ঐক্যের প্রচন্ড আকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা আলেম সমাজকেই রাখতে হবে। মতপার্থক্য সাহাবায়ে কেরাম এবং তৎপরবর্তী সময়েও ছিল। মতপার্থক্যের কারণেই বিভিন্ন মাযহাবের উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু এই মতপার্থক্যের কারণে কখনই শত্রুতা বা দলাদলি বা উম্মাহর মাঝে অনৈক্য সৃষ্টি হয়নি। ইমাম শাফেয়ী (রহ) ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ)-এর কবরসংলগ্ন মসজিদে নামায আদায়ের সময় রফে ইয়াদাইন ছেড়ে দেন। তাঁর অনুসারীরা জানতে চান, তিনি রফে ইয়াদাইন একেবারে ছেড়ে দিলেন কি না? জবাবে বলেন, না- এখানে যিনি শায়িত আছেন তাঁর সম্মানার্থে ছেড়ে দিয়েছি। এমন শ্রদ্ধাবোধ ছিল পরস্পরের প্রতি।
গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক থিংকট্যাঙ্ক, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (আইআইআইটি) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি) এর যৌথ আয়োজনে “আইআইআইটি- বিআইআইটি ইন্টেলেক্সুয়াল ডিসকোর্স সিরিজের” এ পর্বে “আলেম সমাজের ঐক্যঃ মতবিরোধের ইসলামী পদ্ধতি” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান মেহমান হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নিয়ে সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইটির নির্বাহী পরিচালক ডঃ এম আব্দুল আজিজ। প্রধান আলোচক হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড.আ. ক. ম. আব্দুল কাদের, অধ্যাপক, আরবী বিভাগ, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও একটিং প্রেসিডেন্ট, বিআইআইটি।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথী হিসেবে ছিলেন দেশের প্রবীন আলেম মুফতী শামসুদ্দীন জিয়া, প্রধান মুফতি, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম; মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী, আমীর, বাংলাদেশ হিযবুল্লাহ জমিয়াতুল মুছলিহীন ও চেয়ারম্যান, নেছারাবাদ কমপ্লেক্স ঝালকাঠি। সঞ্চালনায় ছিলেন বিআইআইটির কোঅর্ডিনেটর ডঃ ইবরাহী খলিল আনোয়ারী। উক্ত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, বসনিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষক, শিক্ষকসহ অর্ধ শতাধিক লোক অংশ গ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, বেশিরভাগ মতপার্থক্য সুন্নাত-মুস্তাহাব পর্যায়ের আমল নিয়ে। উম্মাহর মাঝে অনৈক্য সৃষ্টি করা কুফুরি। আল্লাহপাক বলেন, তোমরা আল্লাহর রজ্জু শক্তভাবে ধারণ করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। অথচ আমরা কী করছি? প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আমাদের কী শেখায়? ফরজ লঙ্ঘিত হলে নামায পুনরায় পড়তে হয়, ওয়াজিব ছুটে গেলে সহু সেজদার মাধ্যমে ঠিক করে নিতে হয়; আর সুন্নাত-মুস্তাহাবের ভুলে নামাযের মতো ইবাদতে কোনো সমস্যা হয় না। অথচ এই সব আমল নিয়ে আমাদের যতো ঝগড়া-ঝাটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।