পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ৪২৫ কোটি টাকার (৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) চুক্তি সই হয়েছে। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের সঙ্গে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণচুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং এডিবির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এ বিষয়ে মনমোহন প্রকাশ বলেন, করোনায় ক্ষতি পুষিয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে গতি ফেরাতে এই অর্থ সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি এই অর্থ গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবংক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধরে রাখতে ও সেখানে কর্মরতদের চাকরি টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবে। ক্ষুদ্র শিল্পের অন্তত ৯০ হাজার মানুষের কর্মের সুরক্ষা দেবে, যাদের ৭০ শতাংশই নারী। গত ৮ ডিসেম্বর এই অর্থ অনুমোদন দেয় এডিবির প্রধান কার্যালয়। তার ১৩ দিনের মাথায় বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হলো।
এডিবির তথ্যমতে, চলমান ‘মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট (এমডিপি)’ প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেবে তারা। সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) মাধ্যমে এ ঋণ দেয়া হবে।
গ্রামীণ পর্যায়ে কাজ করে এমন ১২০টিক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এই অর্থ। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ পর্যায়ে ই-কমার্সকেও উৎসাহিত করা হবে।
চলমান এ প্রকল্পের আওতায় পিকেএসএফের অংশীদারি ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৯ হাজার ৫৮০টিক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করা হয়েছে, এর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় ৯১ হাজার ৪৩০ জনের কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানিয়েছে এডিবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।