পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতার পর আমরা মাত্র ৪৯ বছর পার করেছি। কিন্তু এই সময়ে বাংলাদেশ প্রচুর উন্নতি করেছে। এখন এ দেশে কেউ না খেয়ে নেই। কারো পরনের কাপড়ের সমস্যা নেই। কেউ না খেয়ে মারা যায় না। হেনরি কিসিঞ্জার এ দেশকে এক সময় তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলেছিল। এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দেখে ঈর্ষা করে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সাংবাদিকদের নিয়ে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই নিজেদের স্মৃতি সকলকে জানান তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে প্রবেশ করেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আজ আমি গর্বিত। বিজয়ের ৫০ বছর একটা জাতির জন্য খুব বেশি সময় নয়। তবে আমরা এই ৫০ বছরে কী পেলাম যদি হিসাব করি তাহলে বলতে হয় সেই কুখ্যাত স্বাধীনতা বিরোধী মার্কিন কুটনীতিক হেনরি ক্যাসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বিশ্বদরবারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আমদের যুদ্ধ চিরকাল থাকবে। দেশের সমৃদ্ধির যুদ্ধ, দেশকে এগিয়ে নেয়ার যুদ্ধ। আর সব সময় মুক্তিযোদ্ধারা থাকবে প্রেরণা এবং দিকনির্দেশক হিসেবে।
সংগঠনের সিনিয়র সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল কৃষ্ণ রায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকলীন রেডিও, টেলিভিশনের সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে যে ভূমিকা পালন করেছে তা অনস্বীকার্য।
দৈনিক করতোয়ার চীফ রিপোর্টার ও মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমেদ অটল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পরিবার পরিজনের মায়া ত্যাগ করে তরুণরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। এসময় তরুণ সমজাকে থামিয়ে দেয়ার জন্য তাদের পরিবার পরিজনের ওপর নিপিরণ চালানো হয়। এসময় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে কথা বলেন ডিআরইউ’র সিনিয়র সদস্য আতাউর রহমান ও দীপক চৌধুরী।
ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিআরইউ বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এম এম জসিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ওসমান গনি বাবুল, যুগ্ম-সম্পাদক আরাফাত দাড়িয়া, অর্থ সম্পাদক, শাহ আলম নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, নারী বিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক হালিম মোহাম্মদ, ক্রীড়া সম্পাদক মাকসুদা লিসা, বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন, কার্যনির্বাহী সদস্য রুমানা জামান, মো. মাহবুবুর রহমান, রফিক রাফি ও জাহাঙ্গীর কিরণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।