পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ ভার্চুয়ালে বৈঠক করবেন। প্রায় ১৪ মাস পর প্রতিবেশি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের পাদুর্ভাবে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। বৈশ্বিক এই মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দুই দেশের মধ্যেকার অসংখ্য অমীমাংসিত ইস্যু থাকায় করোনার মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘কী আলোচনা হবে’ তা নিয়ে চলছে জল্পনার শেষ নেই। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল ইসলাম মনে করেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছরে প্রয়োজন দেনা-পাওনার নতুন হিসেব কষা। তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্তে হত্যা বন্ধসহ ভারতের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা ইস্যুগুলোর সমাধানে আরও গতিশীল কূটনৈতিক তৎপরতার প্রয়োজন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো: তৌহিদ হোসেন বলেন, অনেকদিন ধরে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ নেই, সেই যোগাযোগটা হচ্ছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া যে ইস্যুগুলো আছে বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে, এর কোনটাকেই বিরাট কিছু মনে হচ্ছে না আমার কাছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের কোনো কোনো ইস্যুগুলো ঠাঁই পাচ্ছে আলোচনার টেবিলে, সেটি প্রকাশিত না হলেও এই বৈঠক থেকেই নীলফামারির চিলাহাটি ও পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহারের অন্তর্গত হলদিবাড়ি স্টেশনে ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দেবেন দুই শীর্ষ নেতা। পরবর্তীতে এই রেললাইন যুক্ত হবে ভুটান ও নেপালের সঙ্গেও।
দুই সরকার প্রধানের বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে কোনও পক্ষ স্পষ্ট কিছু না জানালেও বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই দেশের সম্পর্ককে আরো সফল করতে ‘গতানুগতিক কূটনীতির ধারা’ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভারতের কূটনৈতিক দপ্তরের বরাত দিয়ে সেদেশের সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, গত একবছর ধরে দুই দেশের সম্পর্কের যে শীতলতা চলছে, সেটি স্বাভাবিক করারও চেষ্টা থাকবে এই বৈঠকে।
করোনা মহামারির মধ্যেই দুই প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক নিয়ে উদগ্রীব দেশের কূটনৈতিক মহল। সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল ইসলাম ভারতের সঙ্গে পানিবণ্টনে ভাগাভাগি প্রশ্ন থেকে সরে এসে উন্নয়নের কথা বিবেচনা করা দরকার। আমরা ওয়াটার রিসোর্স কীভাবে উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবহার করা হবে সেটা দেখা উচিত। দুই দেশের বাণিজ্যে সমতা আনাসহ, সরবরাহ ও জোগান স্বাভাবিক রাখতে আঞ্চলিক মজুদ ব্যবস্থাপনা গড়তে ঢাকা-নয়াদিল্লিকে আরো পথ পাড়ি দিতে হবে বলে জানান পররাষ্ট্র বিশ্লষকরা।
বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী ভারতের সাথে স্থলপথে বাংলাদেশের সীমানা অনেকটা মাকড়শার জালের মতো ছড়িয়ে। সুসজ্জিত এই কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে রেল চলবে দুই দেশের মধ্যে, সেই অপেক্ষা আজ শেষ হচ্ছে। তবে ভুটান ও নেপালের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে ঝুলে আছে আরও কিছু অমীমাংসিত বিষয়। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত চাইলে বাংলাদেশের সাথে নেপাল ও ভুটানের সরাসরি যোগাযোগ চালু করা সম্ভব।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে দেশ দু’টির মধ্যে নয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। যদিও দুই দেশের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত সংঘাতের মতো অনেক বিষয় দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, তাদের মধ্যকার ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বিভিন্ন খাতে ৯টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে এখনো কাজ করছেন। এর আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই বৈঠকে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন। ড. মোমেন বলেন, এই বৈঠককালে ঢাকা পানি বণ্টন, কোভিড সহযোগিতা, সীমান্তহত্যা, বাণিজ্য ঘাটতি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও রোহিঙ্গা সংকটসহ প্রধান সব দ্বিপক্ষীয় ইস্যু তুলে ধরবে। বৈঠকে দু’দেশে প্রবহমান অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে মোমেন ইঙ্গিত দেন। ঢাকা দু’দেশের মধ্যে বয়ে চলা প্রধান ৭টি নদী মনু, মুহুরি, গোমতি, ধরলা, দুধকুমার, ফেনী ও তিস্তার পানি বণ্টনের ইস্যুটিকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শিগগিরই, এমনকি যদি সম্ভব হয় আগামী মাসেই এই অভিন্ন সাতটি নদীর পানি বণ্টন ইস্যু সমাধানের লক্ষ্যে একটি কাঠামো গড়ে তুলতে মন্ত্রী পর্যায়ে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব রাখা হবে। সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পটিও জেআরসি বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডা হবে। ১০ বছর আগে ২০১০ সালে নয়াদিল্লিতে সর্বশেষ জেআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঝুলে থাকা তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চুক্তিটি অনেক আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। এমনকি ভারতের পক্ষ থেকে চুক্তির প্রতিটি পাতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে দিল্লি চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য বারংবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চূড়ান্ত চুক্তিটি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু বাস্তবায়নের অপেক্ষা। তিনি বলেন, এখন আমরা (ঢাকা) বিষয়টি তাদের (নয়া দিল্লি) ‘প্রতিশ্রুতির সম্মানের’ উপর ছেড়ে দিয়েছি। কারণ বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সব সময় এই ইস্যুটি তুলে আমরা তাদের অস্বস্তির মধ্যে ফেলতে চাই না। ড. মোমেন বলেন, এই চুক্তিটি বাস্তবায়নের প্রশ্নে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ করে পশ্চিম বাংলা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড মহামারি ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা হিসেবে স্থান পেতে পারে। ভারত সর্বপ্রথম বাংলাদেশকেই কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বলে এরই মধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বৈঠকে বিষয়টি আরো জোরাল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ড. মোমেন বলেন, ঢাকা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভারতকে জাতিসংঘে জোরাল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাবে। এ বছর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যপদের জন্য বাংলাদেশ ভারতকে সমর্থন দিয়েছে। আমরা তাদের বলব যে, যদি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান না হয়, তবে গোটা অঞ্চলেই অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে, যা মিয়ানমারে আপনাদের (ভারত) বিনিয়োগকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। ভারত আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ইউএনএসজি বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছে। ঢাকা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান গভীর সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিবেশী দেশটির কাছে এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সমর্থন চাইবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর গুলিতে বাংলাদেশীদের প্রাণহানির ঘটনার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ জানানো হবে। গতকাল বিজয় দিবসেও লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন বাংলাদেশি মারা গেছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং আমরা অবশ্যই ভারতের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নয়া দিল্লির প্রতি আহ্বান জানাবেন। ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্য যেন নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারে, সে লক্ষ্যে’ ঢাকা দু’দেশের মান নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি ‘অভিন্ন গুণগত মান’ ঠিক করার প্রস্তাব দিবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতে উৎপাদন করা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ সম্ভাব্য ক্ষেত্রে এখন এদেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারতে রপ্তানি করতে চাইছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ভারতের সহায়তায় ভুটানের মতো তৃতীয় কোন দেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চাইছে। ভুটান বাংলাদেশের কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ে ইচ্ছুক।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে প্রথম রাষ্ট্রীয় ঋণ (এলওসি) অনুমোদন করে দেশটি। ১০০ কোটি ডলারের ওই ঋণ থেকে পরে ২০ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে মঞ্জুর করা হয়। তবে ঋণের পরিমাণ আরও ছয় কোটি ২০ লাখ ডলার বাড়ানো হয়। এছাড়া দ্বিতীয় এলওসির আওতায় ২০০ কোটি ও তৃতীয় এলওসির আওতায় ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে ভারত। সব মিলিয়ে ভারতের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৩৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। তবে প্রায় ১১ বছরে এলওসির মাত্র ৭১ কোটি ডলার ব্যবহার করতে পেরেছে বাংলাদেশ। যা মোট ঋণের মাত্র ১০ শতাংশেরও কম। এখনও প্রথম এলওসির প্রকল্পগুলোরই বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়নি।
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো: তৌহিদ হোসেন বলেন, এমইউও কথা বলা হচ্ছে, এগুলোর কোনটাই আসলে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। যে বিষয়গুলো নিয়ে সবসময় কথাবার্তা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে, উদ্বেগ আছে, তার একটা ইস্যুও এখানে নেই। সেক্ষেত্রে আমি বলব, পুরো বিষয়টার গুরুত্ব অনেকটা কমে আসছে। তবে মনে করেন, এমন সমঝোতার মধ্যে হাইড্রোকার্বন সেক্টরে সহযোগিতার বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব বহন করে। হাইড্রোকার্বন সেক্টরে যে কো-অপারেশনের কথাবার্তা হয়েছে, এটা অনেকটাই নতুন। একটা হতে পারে যে, যেহেতু সাগরে আমাদের পাশাপাশি অনেকগুলো বøক রয়েছে, সেখানে ভারতীয়রা হয়তো সহযোগিতা করতে পারে। কারণ এক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। সেটা হলে বেশ উপকারী হবে। কিন্তু তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্তে প্রাণহানি বন্ধ না হলে এই বৈঠক বাংলাদেশের জন্য ততোটা উপকারী হবে না বলেই তিনি মনে করেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে আমরা যে ট্রেন্ড দেখেছি, সেটা হলো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা। সেটা কিন্তু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। স্পর্শকাতর বিষয়গুলো একদিনে সমাধান হয় না। আপনাকে আস্তে আস্তে দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি করতে হয়। সেগুলোর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। ছোটোখাটো বিষয়ে যখন বিশ্বাস তৈরি হবে, তখন সেটাকে বড় ইস্যুগুলোর দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
জানা গেছে, সামনের বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এই বৈঠকের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।